হীরক
বন্দ্যোপাধ্যায়
যন্ত্রমানব
হটমেটাল আর স্ক্র্যাপ নিয়ে উড়ে
উড়ে যাচ্ছে কনভার্টার,
মিক্সার ভর্তি
নাইট শিফ্টে ক্রেনগুলো সব স্থির
ল্যাডেলগুলো আপনা আপনি বসে
যাচ্ছে যে যার করে,
এমন সময় বৃষ্টি নামল
দুমদাম ফাটতে লাগলো উজ্জ্বলন্ত
স্ল্যাগ
মেল ফিমেল কাপ্লিং গুলো খুলে
খুলে যাচ্ছে
টিমিং বহুদিন উঠে গেছে
এখন কাস্টিং করার লোক পর্যন্ত
নেই
সারা রাত শুধু হুইল আর এ্যক্সেল
বানানো চলছে, রাজধানী
শতাব্দীর হুইল
ব্লাস্ট ফার্নেস অফব্লাস্টে যেতে
যেতেও
থমকে গেল কোকোভেন থেকে কোক আসা
বন্ধ,
একজন যন্ত্র মানব দৌড়চ্ছে
এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত তার ঘুম
নেই স্বস্তি নেই
পৃথিবীর শেষ তম সভ্যতার সাক্ষী
হয়ে...
তাস
সাফল করতে করতে মার দিয়া কেল্লা
ইস্কাপনের বিবি
হাতে উঠে এসে খিল খিল হাসে
মালকোষে আহিরী ভৈরবে চারিয়ে যায়
মুখের লাবণ্য ত্বকের বিভা
একটানা গোলামের পাশে বসে বসে
টেক্কা বলে
দম মারো দম,রুইতন চিড়িতন
সাহেব বিবির পাশে
গোলামের মুন্ডু খসে যায়...
সর্পিল
সর্পিল গার্হস্থ্য রেখা গড়িয়ে
যায় রাত্রির দিকে
হাস্যে লাস্যে গুপ্ত বিদ্যা
আয়ত্তে এনেছে
অপেক্ষার ঘুম
নিয়ম ভাঙার খেলা আগে কখনো
জোনাকিরা
খেলেনি মিটিমিটি
আজ দেহরসে আকা হল নিজস্ব পতাকা
স্মতিময় এইসব চিরকাল
তোমার ই উদাসীন উল্লাস...
গেলে আর ফেরে না
আগে ঠিক করো কোনদিকে যাবে
দক্ষিণে না বামে
দক্ষিণে শ্বাপদ সঙ্কুল
জঙ্গলে হায়না ,বিষাক্ত
সাপের ভ্রুকুটি
আর বামে জল ,অর্থে কুমীর
হাঙর
আগে ঠিক করো
কোনদিকে যাবে
তারপর না হয় বোঝাপড়া হবে
মানুষ একবার সেখানে গেলে আর ফেরে
না ...
কতটা প্রভেদ
যত কাছে যাই ,ততই সরিয়ে
দাও দূরে
এ কেমন খেলা তোমার
যে জিহ্বা, আলজিভ
পরনিন্দায় প্রীত
আজ তাকে নির্বাসন দাও
আমার পিঠে লাগছে বল্লমের খোঁচা
তবু আমি ধূপ জ্বেলে যাই
ছোটবেলায় গুরুজনদের মুখে শুনেছি
সর্বোমঙ্গলোহং ভবামি ...
সকলের মঙ্গল হোক
আমি সাপ দেখিনি, সাপের কুটিল
চোখ দেখিনি
শুধু ভ্রমর দেখেছি
প্রজাপতির ডানায় হলুদ
গোধূলির সঙ্গে মিশিয়ে শুধু দেখতে
চেয়েছি
কতটা প্রভেদ ...