সুধাংশুরঞ্জন সাহা
বিতত ধনতন্ত্র
-------------------
নিরীহ ভোর কিংবা সংখ্যালঘু কুয়াশা !
এই নিয়েই আমাদের সনাতন জীবনবীক্ষা ।
সংখ্যাগরিষ্ঠ রোদে পুড়ে ঝামা দলিতকথা !
নিভন্ত আগুনে ফুঁ দিয়ে অসহায় মেয়েরা
যেদিন থেকে ডেকে এনেছে নিজেদের সর্বনাশ
সেদিন থেকেই মেধার মগডালে বসে
তর্জনী নাড়ছে বিতত ধনতন্ত্র,
কিংবা ধর্মের নিপুণ জাল ।
যোগ বিয়োগ
দ্বিধার কাঁটা সর্বত্র ।
ঘরে বাইরে মুগ্ধতা আর কতটুকু !
স্নানঘরে যতটা সংরক্ষিত থাকে ঋতু,
তারচেয়ে ঢের বেশি থাকে উপশম ।
আয়নায় ভেসে ওঠে জন্মের বিস্ময় !
বুকের সরোবরে কুয়াশা,
আর মেঘেদের হাততালি ।
কিংবা অভিযোগের যোগ বিয়োগ ।
ডোরবেল
কী বয়ঃসন্ধি
! কী
সমুদ্রঋণ !
শুধু চৌকাঠই জানে,
ডোরবেলে লেগে থাকে কতটা অপেক্ষা
!
অস্তরাগে যতটা থাকে গুঞ্জন,
তার চেয়ে বেশি থাকে চিৎকার ।
ভরাকোটাল
ভরাকোটালের নষ্টচাঁদসমগ্রের
পাতা ওল্টাচ্ছে বনেদি হোটেলের কাচঘর ।
অনিদ্রার কোলাজে লেপ্টে আছে
ফুরনো গল্পের কুচিকুচি স্বপ্ন ।
কিংবা ঢেউয়ের বিভ্রান্ত ইশারা !
আড্ডা
পুকুরে ছিপ ফেলে বসে আছে দুপুর ।
ঝুরির বিলাস নিয়ে বটের বনেদিয়ানা
পড়ন্ত বিকেলের আড্ডায় গুলে দিচ্ছে
দেশভাগ আর উদ্বাস্তু কলোনিকথা,
অথবা ব্যর্থতার উপসংহার ।
কিংবা অনিয়মে ভরা মধ্যবিত্তের
যৌথখামার যথা।