তুষারকান্তি
রায়
নিঃশব্দ
কেন কোন কথা বলো না? তরঙ্গ!
তবে কি হারিয়ে গেছে পথ? বাঁশি?
হৃদয় লিখে কি তবে বাগান পেরবো!
দু’আনার
বাতিঘরে লিখে রাখি দরদীবকুল!
বৃষ্টি আসা বা না আসার মাঝখানে চিরাগের
উৎসব! দ্যাখো,
সম্ভাবনার মাঝখানে কেউ নেই;
পরিবেশ পরিসীমার বাইরে
কালপুরুষের চোখ। নিশ্চল। দুরদর্শী।
এবং ভূমিকা
প্রসঙ্গ তো ছিলোই! আসলে তোমাকে
শঙ্খলাগা
নতুন শতকে নিয়ে যাব, রাধারানী!
চৈত্রও যে
মুর্তমান কবিতা সমগ্র
সেকথা বোঝাবো।
গৃহস্থ ময়ূরের পালকেও বয়স্ক সময়
লেখা থাকে। তুমি কি
দেওয়াল ঘড়ির গায়ে আঙুল ফুটিয়ে
দেখেছো ?
নবপানিনি?
অপ্রত্যাশিত ভূমিকার বাইরে দ্যাখো ,
কেমন মেঘ করেছে ! তোমার ভিতরে ‘নিদ নাহি …’ শোনার
অপেক্ষায় চতুর্দশীর চাঁদ
প্রকাশিত হোক !
প্রাসঙ্গিক শব্দের মধ্যে
দরিদ্র ব্রাহ্মণের বেশে ট্রামের
ঘণ্টা আলো বাজিয়ে চলে গেছে ,
কতকাল !
তোমার মুখোমুখি বসে আছে
বাক্য- প্রাণহীন অপূর্ব
নিঃসঙ্গতা …
মাত্রাহীন হতাশ অক্ষর ; আর কীটদগ্ধ
অলৌকিক পদাবলী খুলে রাখা নির্মম
মহাকাল
কারফিউগান
শব্দের শেষে পড়ে থাকা শব্দ
ছাপিয়ে
ক্রমমুগ্ধতায় বয়ে যাচ্ছে ইহজন্ম;
যতিচিহ্নহীন গুল্মবাতাস
প্রজাপতির উৎসুক উড়িয়ে
খেলে বেড়াচ্ছে, আঘাতে সংঘাতে;
আর আমাকে অতিক্রম করে যাচ্ছে
বাসমতী মাঠ, খুঁজে যাচ্ছি
মজা করে
কথা বলবার দিন, ভিড়ের মধ্যে
ছেড়ে যাওয়া
প্রত্যাশিত আঙুল; আমি ভুল করে
ভোলাভালা দো’ ভাষী পিওনের
ধার করা কারফিউগান হয়ে বয়ে
যাচ্ছি
দেশে- বিদেশে
অনর্থ
ধরো, আঘাতেও বাজলো
না সপ্তসুর;
প্রাসঙ্গিক শব্দের খানা-খন্দে
নাছোড় রাশিফল, জল, বয়স!
স্তব্ধ সন্ধ্যার মুহূর্ত। জনতা এক্সপ্রেস?
সেতো দেরি করেই আসে; তবু দ্যাখো, তার পাঁজর
ভর্তি যুবমেঘের
হুল্লোড়, ডানা খোলা
শ্রাবণ সংক্রান্তির গমগম
কথোপকথন। ওরা কি ইউক্লিডের
উপপাদ্য জানে?
মহুয়া ফুলের গন্ধ? আমি দশকথার
হাওয়াগাড়ি চালাই। বাঁকের
পর বাঁক পেরিয়েও বাঁকের নেশা যায়
না।
বনগন্ধে ভরা ঢুলুঢুলু অর্গান
বিধুর সোনামন! তর্ক কোরো না;
এসো
আসন্ন মল্লারের পাঠ্যবিষয়ক
উপাখ্যান প্রস্তুত করি।
গূঢ় বার্তার স্বর- ব্যাজ্ঞনে
লিখে রাখি
অনর্থ, কথাপুরের
মাজাকি,ভাঙচুর, আর
শৃঙ্খলাহীনের সংহিতা ;
আকাশে বিষবৃক্ষের চাঁদ
ডম্বরু
আসলে তোমার ধারণা বুকে আলাদা
মাত্রা এনে দেয়। ডম্বরু!
ভবঘুরে চকখড়ি দিয়ে তোমার
প্রতিটি মুদ্রা এঁকে রাখি
আমাদের চোখের তারায়, পায়ে পায়ে
মুদ্রাদোষ।
এবার আমরা নৃত্যের তালে তালে
পৌঁছে যাবো প্রত্যাশার
প্রত্যন্ত গ্রাম ও শহরে!
আকাঙ্ক্ষা সুন্দর ! তবে এখান
থেকেই
শুরু করি ‘ ধনধান্যপুষ্প
… ’! নদীর
টংকার!
যেকোনো ত্রাণের দামে কিনে নিই
বাস ট্রাম অটোরিকশা- মিছিল –
পোস্টার?
বিবিধ পার্টির কাছে বিক্রি হয়ে
যাওয়া
পলাশ পাতার দেশ, কবিতা? আদর?