রাজর্ষি
চট্টোপাধ্যায়
কবি
এই যে আমি বেঁচে আছি
এটা আসলে একটা গল্প
আর আমাকে নিয়ে যেটা লেখা হবে
সেটা বাস্তবের কাছাকাছি
লেখা হবেই যে, সেটা আবশ্যিক
নয়
আমিই নই
কিন্তু না মরে বেঁচে বর্তে
থাকাটা বেশ
আর তা লুটে নেওয়াটা
নিজেই একটা মজা
সার্কাস থেকে বেরিয়ে
যেটা ঠিক কী, আপনি মনে
করতে পারছেন না
মনে করতে পারছেন না
আপনার বুনিয়াদি সন্তানের
প্রশ্নের উত্তর
নিষিদ্ধ প্রাণী ঠিক কারা
প্রক্ষালন
যদি আপনি তামাক বা মদ বর্জন করেন
তাহলে আপনার হাতে রইল কফি
এই শহরে যদিও কাফেলা খুব বেশি নয়
অথবা, আপনার পুরনো
বান্ধবীর সংখ্যা
অথবা, রাতের শেষ
বাস
যারা নিশ্চিত বিলবোর্ড থেকে মুছে
নেবে
বিজ্ঞাপনের সমস্ত আলো
আর তার জায়গায় বসিয়ে দেবে
এই কয়েকটা পংক্তি
আমার অথবা আপনার...
ভুল সংশোধন
পরশু হতেই পারে এরকমই একটা দীর্ঘ
কালো কফিকাপ
তার মানে এই নয় যে,
তোমার সাথে আজ রাস্তায় দেখা
হয়েছিল
আর কাল আমি চীৎকার করেছিলাম
যদিও তোমার বাড়ি যাওয়ারই ছিল
আর কী একটা আমার ফেলে আসার
আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম
কাজটাই অগ্রাধিকার
যদিও কালকের মত পরশু
আমি তুমি বা সে কেউই দেখি নি
বাড়ি
একটা ছোট বাড়ির ওপর দিয়ে
একটা বড় বাড়ি উড়ে যাচ্ছে
সেই বড় বাড়ির এগারো তলায়
এক বৃদ্ধা শুয়ে রয়েছেন
আদুরে রোদ এসে পড়ছে তার বিছানায়
আসলে আমরা মাথা উঁচু করেই দেখি
দেখতে চাই
কখনো কখনো একে তাকে বলি
চশমাটা ধার দাও তো বাপু হে
এতো উঁচু
হাওয়ায় একটা বারান্দা অন্তত আঁকি
যেখানে কফি সিগ্রেট আর জয়েস নিয়ে
অনেকক্ষণ বসে থাকা যায়
তারপর মাথা ঘুরে গেলে
চশমাটা নামিয়ে ফেলি
আসলে আমরা একটা ছোট বাড়িতেই থাকি
হতে পারে কোন টিলা অথবা সমুদ্রের
ধারে
ছিন্নই থাকি আমরা
শুধু বাড়িগুলো
একটা আর একটার ওপর দিয়ে উড়ে যায়
মনোরমের শহর
শার্সিটা খুলে বেরিয়ে না পড়লে
এতো উঁচু থেকে তোর মনোরমের শহর
জানতেই পারতাম না
এই যে নেমে যাচ্ছি
শার্সির উল্টো পিঠে আরো ওপরে
কোথাও
তুই বসে আছিস
বসেই আছিস কয়েক জন্ম
যেন হাওয়ায় এই পড়ার শব্দ পেলে
তুই ঘোর ঠেলে উঠে যাবি
কিছুই হয় নি
সেদিনই তো একসাথে কফি আর তামাক
খেলাম
তারপর খেলা ছেড়ে উঠে গেলাম
যে যার মতো