লক্ষ্মী নন্দী
পোশা সুখ
জীবনের কাছে আর
কোনও কৈফিয়ত নয়।
এখন শুধু তোমার সরণী
বেয়ে তোমার উড়ানে চড়ে
সব অবসাদ ভাসিয়ে দেব
শূন্যে মহা শূন্যে। তুমি হবে
আমার আলিঙ্গন পাগল
প্রীতি ও ইচ্ছা। যা বিজয় মাথুরে
বাস্তবও পাল্টে দিতে পারে।
প্রথিত মরদ
এই কালমগ্ন মধ্যরাতে
কেমন আছো পাহার?
আকাশ কতোটা কাছে
এসেছে তোমার?
তুমি কি আমার দেখার
পরিধি
পেরিয়ে
হিমানীর আলিঙ্গনে
পাশ ফিরে শুয়েছ এখন?
আমি অনুভব করছি
বনরাজির নীল চক্রবালে
নৈঃশব্দে তোমার নিঃশ্বাস
গ্রহণ করছে আকাশ
বিশ্বাস করো
এই
প্রশ্ন
এই
কৌতূহল,
এ আমার
ভালোবাসার অবিশ্বাস ।।
বসন্ত ভুবন
এখন ঋতু- বসন্ত।
সে-বর্ণে গন্ধে - উন্মীলনে
কোরকে কোরকে জাগায়
সংরাগ। কখনও অরণ্য
সরণির উন্মাদ স্ফুর্তিতে -
কখনো, রোদাল শহরে
উন্মোচনে - উৎসবে
ফুটন্ত ফুলের চায়
করস্পর্শ।
আহরণে-বিহরণে,
কবিদের কুঞ্জনে -বিজনে
গোপনে গোপনে দেয়
হৃদয়বারতা। কখনও
রোমান্টিক, কখনও
নৃত্যরত উন্মাদ
কখনও - বিরোধাভাসে
বসন্তবিলাপ।
ভালো থাকুক আদিম বসন্ত
জীবন্ত হয়ে
মুকুলে
মুকুলে
বৃক্ষদের ডালে ডালে
পাখির ডানায়।
উদ্যানে,ভবনে
ধ্যানে
মুগ্ধ
অনুভবে।
ভালো থাকুক বসন্ত
তৃষ্ণানিবারণী সুধায়।
প্লেটোনিক প্রেম
হ্যালুসিনেশন ঝেরে ফেলা
রাধাকে
তর্জনী
এনে দেয়
বিন্দাস বিন্দাবন। বাজিমাত
হয় সব আচ্ছন্নতা। বল্লভ
রাধার শরীরে
শরীরহীন
হেলান
দিয়ে
বসে।
কণ্ঠস্বর
মৃদু। তুমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে
বিবসনা হবে
মনে
আছে?
সর্বাঙ্গে মেশে সৌভাগ্য।
চলে বিশুদ্ধ ত্রিগুণাতীত
অভিজ্ঞতার
শৃঙ্গার। রুদ্ধশ্বাসে
ধারা
বিবরণে
হয় অনুরক্ত।
হ্যালুসিনেশন ঝেরে ফেলা রাধাকে
রোজ তর্জনী
এনে
দেয় লীলাক্ষেত্রে।
আহা
প্লেটনিক
প্রেম।
গুপ্ত অহংকার
কতদিন অনিচ্ছা সত্ত্বেও নদী
হয়েছি। সাঁতারও খুলেছি ।
কিন্তু যে-বার আষাঢ়ে
একটা
অাস্ত পুকুর এসেছিল আমার
উঠানে। আমি স্ব-ইচ্ছায় সেবার
প্রথম নদী হয়েছিলাম। সাঁতারও
কেটেছিলাম বেশ । সাঁতার
ভাঙতে ভাঙতে চাঁদকে দেখেছি
পুকুরের আয়নায়। দূর থেকে
পরকীয় জাদু দেখছিল চাঁদ।।
নাভি
আমার প্রার্থনা রাতের
প্রগাঢ় পথে হেঁটে
চলেছে
আধ্যাত্মিক ধ্যানশ্মশানে।
প্রার্থনার দৈর্ঘ্য মাপছে
অন্ধকার ঘর। বৃক্ষ জানে ,
সমুদ্র জানে - জানে অাকাশ,
পাহাড় - হয়তো জানে
সদ্যজাত ঈশ্বরও -
আমার বিষাদের
এই বিলাসী
আয়োজন।
হে বহ্নিমান আর নেপথ্যে নয়
নীরবে নিবিড়
হওয়ার
এখনই
মোক্ষম সময়।
এসো দহন শুদ্ধ করো
প্রবল বিস্তারে।
ভালোবাসো -ভালোবাসো
রাত্রির বহর খুলে
প্রাণহরা স্বরে
উর্ধ্বশ্বাসে।
অন্তহীন ঘুমে
হও
আন্তরিক
হও করুণা আপ্লুত ।
অামি যে তোমাতেই
বিমোহিত নিমগ্ন।
হে প্রিয় - আমার আর্তি
গ্রহণ করো। গ্রহণ করো
অামার
নিঃশ্বাস
প্রশ্বাস।
চুম্বনে চুম্বনে উত্তপ্ত করে
আমাকে। আগুন হয়ে
লেহন করো এই স্বপ্নাতুর
নিথর শরীর। তারপর
তোমার
উষ্ণ
করতলে
আমার গোপন
নাভি দীপিত হোক