বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

পলাশ চৌধুরী



পলাশ চৌধুরী

প্যারডি কথন তুলসী নীরালায়

এটা তো যৌবন বল
বসন্ত খাক হয়ে যায় আগত বর্ষায়

খানিক তো মৌ-কল
স্থায়িত্ব মেশিন শহরে তার

জল তো চেনার ভুলে
অ্যাসিডে,সিরামে, চামড়ায় তার দাপাদাপি

অনেক তো সু-সকাল হয়
আন্টনির মতো গুড মর্নিং হয় না সকালের

বয়স তো সংখ্যা, কলেরপুতুল
যৌবন পুঁছেছে একজন সাপুড়ের দূরবীন এ







বিকেল কথন

আজকাল আর গল্প নয়

মৃত্যু আসে মৃত্যু

মুখোমুখি মুখোশ পরি

কথা বলার অনেকতো

কতদিন দেখেছি শিশুটি দাঁড়িয়ে

মেঘ নেমে আসে রোয়াকবেয়ে

সীমান্ত পেরিয়ে যাচ্ছি।



চৌকাঠ বাঁচা বলে

শিশু নয়

দু'কথার ঈশ্বর

দু'পাশে দু'টুকরো মেঘ

টুকরোটি শিশুটির লাল ।।







বিকেল কথন

এই তো বিকেল

শিশুটি দাঁড়িয়েছে একা

অনেক তো গাঁও

ঝলসেছে নাওয়া কাক

মৃত আর কতইবা

ওই তো গালিব সাঁকো

এপারে তন্দ্রানামার ওপার জাগার


কথার মতোন অণু
দাঁড়িয়েছে শিশু


এই যে প্রান্তর এই ঈশানীর ডাক
মুঠোভরে রেখে যায় অপ্রস্তুত।।







রে বাস্তব

রাস্তার ধুলিকণায় লেগে থাকে
একটুকরোই ভবিষ্যৎ।

আগুন জ্বলে রেঁবতির পাঠশালায় আর
বৈরাগ্য পুড়ে যায় সংশয়ে।

মাপা ট্রাফিক থেকে জীবনীর দূরত্ব
তথাপি গর্ভেই ছিঁড়ে যায় ঈশ্বর।







স্বেচ্ছারঞ্জক

কত কাকলী বিভূতি পার্বত্যের
পুরুষ জাগাতে এতক ডাঁশা ডালিমের নারী।
হরিতকি ভার। বহড়া, বাখড়, যতেক নীশাহার,
                প্রতিশ্রুত বিলাপ। 
আমরা স্বল্প শহর।

বাহিত অঢেল অনর্গল হরিতকি সেপাই,
দিনান্তের রৌদ্রে নিঞ্জার গলফ্ পিরিয়ড।

অচেনা বাহন, শৈল, নিভু তিয়াসের বিপ্লবী,
রাঙতা চুলের পাঞ্জায়,
                      স্থাপিত জলজ ঈশ্বরী।

সমঝিয়ে চলে যাওয়া যায়
                              অগতির রিসোর্ট।

এ পুরুষ ভেজাতে প্লাবন, সরিও পাতলা আঁচল।