শুভশ্রী
সাহা
খোঁজ----
কোন ভোর আর আমার জন্যে নেই
মধুরেখা
বুকের ভেতর অশান্ত ঢেউ ভেঙে ভেঙে
চলেছি
অতৃপ্তির শুদ্ধ ফলকে শুধু উত্তাপ
এখন
মধুরেখা কে দেবে শান্তির বুক
চেয়েছি গোধুলি আলোয়, পাখির পালক
ভালোবাসা
চুপ থাকা নদী ঘাট, স্থির জলতল, লুকোনো বন্দর
মধুরেখা, এই সব
নেই শুধু নিভে আসা দিনের আলোয়
মৃত্যু সজল দুটি কারো চোখ!!
কথা নেই ভাষা নেই নেই কোনো ব্যগ্র লিপি কবির
শুধু, ব্যস্ত নগর
তোমার সিঁড়ি ভাঙ্গার গল্প শুনতে
এই সব গোধুলিতে ভালবাসা জন্ম নেয়
নেয় না
কবোষ্ণ হাতে কবি খুঁজে যায় সেই
আঁধার
যেখানে ঠোঁট রেখে কবির মৃত্যু
আবার---
কবিতার নাম – মা
[i:
আসলে এ সব বলার জন্যে বলা
তোমাকে দেখতে মন চায় যখন তখন
বকাবকির পাঠ টাকে ভুলে গেলে পরে
এঘর ও ঘর বলিরেখা নিয়ে তুমি ই
আলো
কলমে যন্ত্রণা লিখি, বয়ে বেড়াই
আস্ত নির্জন
সন্ধ্যা হয়ে এলে ঢেউয়ে ঢেউয়ে
স্তব্ধ প্রাঙণ
ঠাকুর ঘরে বাতি দিতে এলে নড়ে
ওঠে ছোট ছায়া
ক্রমশ ছোট হতে হতে খুঁজি তোমার
আঁচল
সমান্তরাল
দুই পারে দুই নদী, মাঝ খানে চর
চর ভাবে কোন নদী বেশি কাছে,
কোন নদী পর....
নদীরা চলে আপন বেগে, কেউ চুপ
কেউ বা উচ্ছল, মাঠ ঘাট সব
ফেলে
দূর দূর ঘর
চর খালি ছুটে বেড়ায় নদীদের পিছে,
কখনো শুকনো হয়ে কখনো ভিজে।
বাঁধা কি এত সহজ তবে নদীদের মন,
নারী নদী ভেসে যায় যখন তখন
ক্লান্ত চর একা হয়,
রাতের তারায়
বোঝেনা কেউ কারো কথা এটাই জীবন
মোহ
চেতনা ডুবে যায় যদি কোনো মোহ
বন্দরে,
কে ওঠাবে হাত ধরে, খোলাবে
স্বচ্ছ আঁখি
বিপুল এ জগতে,
বেদনায় নুব্জ হৃদয় করতল গত যা
কিছু ভাবনা
যদি নাও মেলে, তবু থাকি
সদাশয় এ চিত্তে
বিপুল এ জগতে,
শুধু তুমি পাশে থেকো স্বামীনাথ, পুর্ণ
ভক্তিতে
মিলতে পারি যেন পার করে দু:খ
অবকাশ
বিপুল এ জগতে,
শুদ্ধ অন্তরে যেন নিতে পারি, তোমার দেওয়া
উপহার....