গৌতম রায়
আয়ুক্ষরণ
যতদিন থাকি মাথা তুলে থাকা
কাষ্ঠল কাণ্ড থেকে কাঠঠোকরার
পোকার সন্ধানে ধামসায় কাঠি পাড়া
অন্য দিকে আরো এক উত্তীর্ন সন্ধান
শব্দের পর যথার্থ শব্দ সাজিয়ে
সকাল থেকে কপোত কপোতির
ভালোবাসা ভালোবাসা খেলা
ধনুক থেকে উড়ে যাও শব্দতীর
অভিধা লক্ষণা ব্যঞ্জনায়
আরো আরো কোনো প্রেমের উন্মোচনে
করো আয়ুক্ষরণ
নিউটন স্ট্রোক
চাকা থামাই অনিন্দ্য আলোয়
ভাসে চিত্রল দেওয়াল
ভালোবাসা উস্কে এসে ছুঁয়ে ফেলে
দেওয়ালশিল্পের ঠোঁট অলিন্দ
অক্সিরক্তরঙ এক একটি নিউটন স্ট্রোক
এগিয়ে দেয় দুকদম
গড়াতেই থাকে চাকা
রাত্রি
ক্যালেন্ডুলা
দেখায়
সূর্যের দিকে চোখ
দিকের দিকে বিন্যস্ত এ চোখ
এসো রাত্রির এতো আদুরে কদর
সম্পর্ক
পাতায় পাতায় নিমকাঠি যোগ করলে
যে পৃথিবী
তার নাম সম্পর্ক
সম্পর্কের উপর বসে ভাত রুটি
বসে বিচিত্র ব্যঞ্জন
তুমি সেখান থেকে পাকস্থলীতে দাও চালান
মনোক্ষরণযোগে জারক রস
জারণ ঘটালে
একটি পিকনিক হয় সারা
এ জ্যামিতি থেকে সম্পর্ক জাতকরা
ছড়িয়ে পড়ে দিল্লি ব্যাঙ্গালরু আবুধাবি
পৃথিবীময়
আবহমান
এক একটি হার্ডল পেরিয়ে অক্সিরক্ত
জীবন্ত করে তোলে প্রতিটি পাথর
অনেক জঞ্জালের ভেতরেও
তুমি এক জাগ্রত পৃথিবী
যেখানে পাপড়ি নাড়ায় সজনে ফুল
আমমুকুল বিকশিত হতে হতে
শিশুর দিকে বাড়ায় হামা