বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

তৈমুর খান



তৈমুর খান

ভাঙন


বহুদিন কোনও দূত আসে না আর

রাস্তায় রক্ত গড়িয়ে গেছে

আর্তনাদ উঠেছে বারবার

সময় চলে গেছে প্রতিধ্বনি তুলে

আমরা দাঁড়িয়ে আছি

সময়ের অনিয়ন্ত্রিত প্রতিকূলে


আমাদের সমূহ ভাঙন এসে দুয়ারে দাঁড়ায়



   




কম্পন

কম্পন জেগে উঠল

বৃহৎ নিসর্গ পথে কম্পনের পাখি উড়ে গেল


বিপন্ন শুয়ে থাকার সময়

এক একবার রাত্রির মোহ কথা বলে


জ্যোৎস্নার রহস্য পথে কথাদের যাতায়াত দেখি




   



উৎসব

সিংহরা ঘুরে বেড়াচ্ছে

আমাদের বিষণ্ণ হরিণের পাশে

আমরা দুর্বহ আলোকে মুখ ঢেকে আছি


আজ কোনও প্রতিবাদ নেই

উৎসবে হিংস্র আকাঙ্ক্ষাদের জয় ঘোষণা শুধু


অরণ্যসমাজের চাঁদ হাসছে আকাশে








কল্পিত ঈশ্বর

রাতের বাজনা বেজে উঠলেই

জেগে ওঠে আমাদের কল্পিত ঈশ্বর


মানুষের অশ্রুফুলে ঝিকিমিকি রাত

মানুষের রক্তে রাঙা পূজার গোলাপ


সমস্ত বিষাদ চিরে যদিও ওঠে চাঁদ

চাঁদের ঘুঙুর নেই

               জ্যোৎস্নায় ঝরে আর্তনাদ








দু টুকরো নববর্ষ
     
     

    সকাল

          ____________


কিছুই গোছানো হয়নি

ঝরাপাতা পড়ে আছে সমস্ত উঠোনে

রোদ উঠেছে ঝিকিমিকি

ধুলোয় কার পদচিহ্ন ?

এখানে সেখানে তাকে খুঁজি

চলে গেছে সে

তার ঘ্রাণ ভাসছে বাতাসে


স্মৃতিসিক্ত সৌরভে কিছুটা এগিয়ে দেখি

চমৎকার একটি সকাল দাঁড়িয়ে আছে

ওকে আজ বরণ করি চলো

আমাদের পথ চলা আজ থেকে শুরু হলো



  

বিকেল

_____________


নতুন পোশাক পরে একটুকরো বিকেল আসে

তার মুখ দেখি পরিপাটি

রবীন্দ্রসংগীতের মতো সেও নিরীহচারী

মায়াবী স্বপ্ন বুনে যায়


তার রাঙা চরণের দিকে চেয়ে থাকি

অনুভূতিগুলি বেজে ওঠে নূপুর হয়ে

মিষ্টিমুখ লবঙ্গ ফুলের ঠোঁট

আমাকে বাতাসা-জল দেয়

শান্ত করে পাখার বাতাসে

উদাসী আলোয় এসে ধরে হাতদুটি