গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘাতক
আঙুর
ক্ষেতে একঝাঁক পাখি নেমে এলো একসঙ্গে।
যে
তীরন্দাজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছিলো
সে
প্রথমেই আঘাত না করে
হাততালি
দিলো তাদেরকে সতর্ক করার জন্য।
তাতে
প্রায় সব পাখিই উড়ে গেল
একজন
বাদ দিয়ে।
সে
তখন সবে একটি সুমিষ্ট আঙ্গুরে
মুখ
দিয়েছে।
বেচারা
চকিতে বুঝতে পারলো
এই
লোভনীয় আঙ্গুরটির সে প্রথম
এবং
শেষ শিকার হতে চলেছে।
হাউই
হাউইটা
চরম গতিতে উঠছে তো উঠছেই।
একসময়
মনে হলো
আর
সে ঠিক আগের গতিতে উঠতে পারছে না।
অর্থাৎ
সে কিছু নয় ,
আসলে
ভিতরের উত্তাপটাই সব।
যেহেতু
উত্তাপ ফুরিয়ে এসেছে এবার পতন।
আর
এই পতনকালীন সময়টিই তার উচ্চতা
নির্ণায়ক।
স্বপ্নের বাতাবিলেবু
সেই
কবে কে তোমার হাত ছুঁয়ে কিছু বলতে গেছলো
বলতে
পারেনি
সেই
থেকে তুমি ধরে আছো স্বপ্নের বাতাবিলেবু
তুমি
জানো মোটা ছাল সরিয়ে
গুচ্ছ
গুচ্ছ কোয়ার ভিতর আছে রস।
তুমি
যখন সেই রসের জন্য চাপ দিতে গেছ
তখন
সেই বাতাবি
একটি
রঙীন প্রজাপতি হয়ে
তোমাকে
রূপকথার দেশে উড়িয়ে নিয়ে চলে গেল।
তুমি
সেই থেকে জন্মকিশোরী রয়ে গেলে।
দ্বিতীয় গর্ত
সাপটি
পুনরায় ফিরে আসবে বলে গেছে।
এবারের
গর্তটি তার পছন্দ হয়নি।
ডিম
থেকে বাচ্চা তোলা,
তারপর
তাদেরকে বড় করা
সবকিছুতেই
বড় কষ্ট হয়েছে তার
যেহেতু
এবারের গর্তটা
যেমন
অপরিসর তেমনি অপরিচ্ছন্ন।
তাই
দ্বিতীয় গর্তের কথা বলে গেছে সে।
সেই
দ্বিতীয় গর্তটি কি তার?
কলম্বাস
মেপো না মাপতে যেয়ো না তাহলে আর কোনোমতেই এগোনো যাবে না
যে গল্পটি ট্রেনের সঙ্গে সমান তালে ছুটে চলে সে কিন্তু
ট্রেন থামলেও
একই গতিতে ছুটে চলে কারণ গল্পের গতি থেমে গেলে জীবন
কলম্বাস
হয়ে যায় যে এক অনির্দিষ্ট ইশারায় এক দ্বীপ থেকে আরেক
দ্বীপে চলে
গেছলো একটি বিশ্বাস নিয়ে।