নির্মাল্য
ঘোষ
বাউল বর্ণ
বর্ণমালার ভাঁজে ছন্দ যে হাঁটে
পুঁথিগত চিনবে না, চিনবে বখাটে
পুঁথিগত মন আজ বাউল হয়ে যাক
ভরে যাবে জীবনের অহেতুক ফাঁক
বইয়ের অক্ষরগুলো ভেসে যায় দূরে
ব্রহ্মানন্দের স্রোত ঢোকে মনের
ঘরে
মনের আনাচে কানাচে সচ্চিদানন্দ
শোক তাপ দু:খের প্রবেশ তাই বন্ধ
বন্ধন
হাওয়া দিয়ে বেড়া বাঁধা, ধন দিয়ে মন
দুটোই পালিয়ে যাবে, বাঁধবি
কতক্ষণ?
মন দিয়ে মন বাঁধ, স্নেহ দিয়ে
বেড়া
যতটুকু দিবি শতগুণ দেবে ওরা।
খুললেও যায় না শুধু কাছে আসে
এ বাঁধন অদ্ভুত শুধুই ভালোবাসে
জন্মজন্মান্তরেরও যে
বন্ধন হয়
বোঝে না কেউ শুধু বোঝে এই হৃদয়
সম্পর্ক
দেশলাই জ্বালিয়ে সিগারেট ধরায়
বারুদ আর তামাক সম্পর্ক পাতায়
দেশলাই বাক্স আর সিগারেটের কাগজ
ধারক আর বাহক - কেউ রাখেনি খোঁজ
এরকম হয়ে থাকে অনেকের সাথে
পিতামাতার অশ্রু দিনে আর রাতে
তবু তাঁরা দেন না অভিসম্পাত
ইশ্বরকে ভুলো না - অনাথের নাথ
জোনাকির কথা
জ্যোৎস্নার মাঝে দেখ জোনাকিও
জ্বলে
পরমাত্মায় ভেসে আত্মাও চলে
তর্কে মগ্ন আছি একা সারাদিন
তর্কাতীত সংবাদ হারাই প্রতিদিন
সময়ের স্রোত দেখ ভেসে চলে যায়
আরেকটা জন্মের আসল সময়
কিম্বা মুক্তি যদি পেতে চাও তুমি
আত্মায় ডুব দাও পাবে সুনামি
ইচ্ছে উড়ান
একটা একটা করে পালক ছিঁড়ে ছিঁড়ে
নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছি ধীরে ধীরে
বেদনাগুলো পিঞ্জরে
পুরে দিচ্ছি অহরহ
বিসমিল্লার সানাই হয়ে
বাজছে সেগুলো
দিনে রাতে
সুখে অসুখে
অবসরে
দিনান্তের পাখি যখন ঝিমোয় বাসায়
ফিরে -
আগামীর রুটিন সংবাদ সে ভোলে
না, কিন্তু আমি
ভুলতে চাই
বিস্মৃতিগুলোকে শুধু
একটু একটু
করে চিবিয়ে চিবিয়ে
চুয়িঙগামের মত মনের
মুখে পুরে রাখতে চাই
আমি অনন্তের পালকবিহীন ডানায়
ভর করে উড়তে চাই
শত আলোকবর্ষ ধরে
অনন্তকাল ধরে
একটু একটু করে
অসীমের আহ্বানে
প্রাণে প্রাণে ভর করে
আলোর নদীতে ভেসে ভেসে
উপোসের গন্ধহীন এক অসীম আনন্দে