বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

মৌ মধুবন্তী



মৌ মধুবন্তী

Owl?

শীত বলছ?
আকাশ ভরা Owl
কি যে যাচ্ছে তাই হচ্ছে, চারিদিকে কেবল মাকড়সা---
বানানেরা ইংরেজি বাংলার মিশ্রণে দার্জিলিং চায়ের টং।

ইয়ার সেল্ফীর নীচের দিকে কি থাকে স্বয়ং owl জানে না।
লক্ষ্মী হোক আর হুতুম হোক। 
শীত হোক গীত হোক
কিংবা গতকালের কালজয়ী আস্তরন হোক। 

তিনি হো হো। আমি প্যা প্যা।  বালিকারা ভ্যাক করে হাসলেন।

পেটের ভেতর বাস, ট্রেন আর টিটিসির সমস্ত যাত্রী হুড়মুড় করছে। মাথাটা ঠেলে অক্ষর থেকে বের করে দিলাম।
বেল বাজলো।
এনাউন্সম্যান্ট!

বাতাস বেড়াতে গেছে ভীন গ্রহে, এরিয়া ফিফটি ওয়ানের সুনির্দিষ্ট আদেশে।
চকিতে চমকে যে পাশে রইলো তার নাম
'ঘুরানো'
সিঁড়ি হলে বলা যেতো প্যাঁচানো, ঝুলানো, খাড়া। 
ব্যথার নাম দিলাম নান্দনিক, 
চিন্তার বিষম দিকগুলোকে আংগুল, উগরে আসার নাম কি দেয়া যায়। ধ্যাত ওসবের
নাম হয় না। 
হয়। নাম দিলাম ডুবন্ত ফ্যারারি।

হঠাত একটা প্রশ্ন এলো, বারে বারে বৃদ্ধাংগুল  কেন? ইমোটি। কি হে মধ্যমা দেবো নাকি?  হি হি হি।
কনে দেয়া যায় তবে আজকাল বর পাওয়া, ইয়ে মানে পাওয়া যায়, তবে সেটা কিনা ডাবল বর।
বাইঞ্চত গাড়িটা হর্ণ দিলো প্রসব বেদনার পুশ!  পুশ!  গায়নি ডাক্তারের  মত।
আপাতত যাত্রাপথে বিরতি এনাউন্সম্যান্ট!
মাইনাস মাসী  
বাই -*বাই*-।
আবার হবে তো দেখা--& এন্ডোস্কপি
শীতে, স্রোতে, সন্মুখে, শ্লীটে, দাঁড়িতে কমাতে,
সেমিকোলন সন্তাপে।







কালরাতে রাতময়ুরী

ক্যালেন্ডারের
মুদ্রা দোষ থেকে সময়   
             হামাগুড়ি দিয়ে
রাতের পেলভিক ভেদ করে।
নতুন পৃথিবীর বুকে অগণিত---
মানুষের জন্য মানবিকতার
         দিন শুরু করে?
 আমরা তিনজন দু:খ  
          বাঁটোয়ারা করি।
প্যান্থহাউজের কাঁচ গলিয়ে নীচের দিকে, আরো নীচে     
ঝুরঝুর বরফকুঁচি    ছড়িয়ে দেই   
   ,,,,হীমশীতল,,,,

হাইওয়ের ইস্টিকুটুম    
        সম্ভোগে। 
কিছু কাজু        বাদাম,
কিছু অলমন্ড    বাদাম
কিছু মন      মনোযোগ দাম     দিয়ে বেসামাল খবর   
              শুনছিল।
গ্লাসের নিচে
বরফ ভাংগার গান শুনছিল। জিঞ্জারেল।

মানুষের এতো দু:খ কেন?
জীবন মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য নেই এই সত্য
মানুষ বোঝে না কেন?

কন্সপেরেসি
থিওরি বোঝ
মৃত্যু বোঝনা?
সরল অংকের জটিল গতির পর্দা ভেদ করে শুন্য করতে      পারো
আর
মৃত্যু বোঝনা?
ইরেক্টাইল যন্ত্র বোঝ
অথচ
মৃত্যু বোঝনা?
মার্কেন্টাইল থেকে ফ্লাইং সসার সবই বোঝ, এপ্রিকট জীবন বোঝ
মাগার মৃত্যুরে বোঝনা।

এমনটা হতে পারে না। 
গড় তাপমাত্রা মাইনাসে।  ঘষাঘষি করছে, উতপাদন বন্ধ হয়নি;
তাই সংজ্ঞা দিচ্ছি ½টাইম

*-
'জীবন' শরীর থেকে বের হয়
'মৃত্যু' শরীরে ঢুকে  পড়ে-*

২/

বিনা ভিসায়,
বিনা টিকেটে,
বিনা অনুমতিতে, 
 তিনজনের ত্রিশুল আড্ডায় অভুক্ত থাকে সময়---
 সম্ভাবনার কোলে কোন পজিটিভ শব্দশিশুকে দেখেনি। 
অবশেষে রাস্তার কান্না শুনতে শুনতে পেরিয়ে আসি দুরত্বের ফেরি, টাইম ক্যাপসুল।

ঘুমের আতশবাজিতে  চোখ খামচে ধরেছে তুলতুলে পিলো অদভুত সেই আঁধারে যেখানে এখনো ঘাষ জন্মায়। সবুজ!








নিন্দিত নন্দিত রস

শাড়িটার ভাঁজ খুলেছে আজ নতুন কবিতা
ছেলেটা বড্ড বেশী অবুঝ, বোঝেনি সে কথা

আচলের পাশে লেখা ছিল গোপন অভিসার
ভুলে খুলে গেলে আচল অপরাধ  কি শাড়ির একার?

কতবার ভেবেছি শাড়ির পাড়ে লিখি নতুন ভবিষ্যত
আজো পাই নি কোন নদি বা পাহাড় যে করবে শপথ

অবুঝ গাঁয়ের পথে পথে ভিখিরি রোদ ছায়া খুজে বেড়ায়
আমার ভালোবাসা তোমার গানে, তোমার কন্ঠে আমাকে এড়ায়

সেকি এতো নরম? সেকি এতোই খোলাখুলি অনির্বার
নিয়নের আলো নেই, তবু হৃদয়ে নেই কোনই অন্ধকার

কোন্দিন বালক জানতে চাও নি কেমন কেটেছে একাকি রাত
পুর্ণিমা এসে ঘিরে ধরেছে নিসংগ বিছানা ছিলনা সংগমের উতপাত

কতদিন ধরে নায়াগ্রার  জল এসে কানে কানে বলে
এইভাবে একা একা কিভাবে তোমার দিন চলে

আমি আছি সাক্ষি, সে রাতে কি কথা হয়েছিল তোমাদের দুজনের
অরক্ষিত রেখোনা প্রেম, স্রোতে ভেসে যায় অভিন্ন দুই মনে্র

আমাকে ফাকি দেবে, এমনটা চালাক তোমরা দুজন কেউ নও
গভীর চুম্বনে উড়িয়েছিলে মেঘ, পাখির পালক, দ্বিধা ছিল না কোথাও

 ধনুকের মত বাকানো শরীরে  বারোটি গোলাপের পাপড়ি
হুটপুটী খেলেছিল অতীত আর ভবিশ্যতের মাঝে দিয়ে বেড়ী

তোমার চোখ ছিল খোলা, মন ছিল উন্মুক্ত প্রান্তর
তুমি দেখনি সেখানে কুৎসিত চিন্তা, দেখেছিল দাদীমার আদর

আজো তুমি  রাতজাগা তপ্ত আগুনের  লেলিহান স্মৃতির ভেতর
শাড়িটা জড়িয়ে ধরে , শাড়িটা গায়ে জড়িয়ে করছ আদর

এখনো শাড়িটা আগের মতই কালো আর সাদা
মাঝখানে  ডোরাকাটা এক গুচ্ছ অভিমানী কবিতা

অভিমান নাম দিয়ে যাকে রেখেছ বুকের ওম থেকে দূরে
সে যে গান গায় নিত্যরসে সকাল সন্ধায় তোমার দেয়া সুরে

সে কি এসে তোমার কানে জানায় না কোন অভিব্যাক্তি
মুখরিত ভালবাসা কাশবন ছেয়ে থাকে, ঠেকাবে আছে কার শক্তি?

তোমাদের কথা গুলো খুলে দেখো আমার আলোতে, চাঁদ বলে
আমি হেসে বলি, সব পুরনো রস, পুরনো পথ, মায়ের আংকটির বদলে

আঙ্গুল টা নিয়ে যাও, নতুন পথে , ওগো চাঁদ  বিছানাটা ছেড়ে দাও
আমার শরীরের ভেতরে আছে বেহুলার সংগ্রাম, জোনাকীর আলো

কি নামে ডাকলে এই রাতে শাড়িটা উড়বে বাতাসে
 নতুন ভ্রুণ জন্মাবে কবিতার  অঙ্গনে , পরিণত সঙ্গমে

কখন কে জানে? সহিষু কাতর চিতকারে নিস্তব্ধতা ভাংগবে
টুকরো টুকরো হয়ে, জীর্ণ দীর্ন হয়ে , চুর্ণ বিচুর্ণ  শীতুৎসবে

কালের সাক্ষ্মী প্রতিটি ছবি, কত গভীর সে প্রেম গল্পগুলো বলে অনায়াসে
ঠোট ছুয়ে আছে আমৃত্যু প্রতিজ্ঞা হরফ হয়ে নক্ষত্রের অঞ্জলি নিয়ে -প্রবাসে








নুনিতা ত্রৈপায়ন

অবাক দু'চোখে সুর্যের প্রেম
আলোর প্রদীপ জ্বেলে দিয়েছে দিগন্তে-
আকাশ-জল-মাটির প্রণয়ে বিছানো আছে
বিশাল এক চত্বর, যেন ছোট একটি
সুখের সংসার:  সৈকতে মেলে দিয়েছে তার ভালোবাসা ।
স্মৃতি উপুড় হয়ে খেলছে
কচি-কিশলয় নুড়ির খেলা।

আনমনা বাতাসে ওড়া,
ঝাউবনের মাথায় দুলছে মুক্ত চিন্তা,
আড়াআড়ি বালিয়াড়ি স্নিগ্ধ সুনন্দা দিনের প্রহর,
আমাকে বারবার নিয়ে যায়
হাওয়ায় হাওয়ায়
হাতপাখা গান, নৈনিতাল কলরবে।

যতবার সমুদ্র চুমু খায় সৈকতের চিবুকে
আমিও অম্লান মনে পান করি তার নোনা স্বাদ।
আমাকে দেবদারু দ্বীপের বাসিন্দা করে,
চোরাবালি মোহন বাঁশীতে  ঢেউ আছড়ে পড়ে-
 সেই ঢেউ-সেই বালিয়াড়ি নেশার মাতাল করা সুরে
এখনো  বুকের ভেতর বেজে ওঠে মহেশখালী।

এলোমেলো করে দিয়ে কোথায় বয়ে যাও?
দুরন্ত সমুদ্র তুমি! দু'বাহু মেলে দিয়ে-
কত দূরে? 
কত বর্ষ পাড়ি দিয়ে?
আবার একদিন আসবে ফিরে এই বন্দরে
আমাকেই জানাতে সুদেষ্ণা- প্রণতি।
আঁচলে সময়ের চাবি ঝুলিয়ে রেখেছি।
জীবনের  চেয়ে বড় বেশী বড় অপেক্ষার  তালা।


আমি তোমারই সুনিবিষ্ট বন্ধনে
 নিজেকে রেখেছি আপ্রৌঢ় সময়ের বোধে বেঁধে।
দেখবে?  আমার কিশোরী খেলা-
আমার তারুণ্যের পাল তোলা-
আমারই চেতনার রঙ্গে রঙ্গিন
                                  যৌবনের উদ্দীপনা!
সব গুছিয়ে রেখেছি তোমার জন্যে,
 প্রিয় কৌরব-গান্ধা,  লালিত স্বপ্ন
অজন্তা দিনের কালবেলা----------প্রবাল- শৈবাল-ঝিনুক-মুক্তোর আশা।
সব, সব গুছিয়ে রেখেছি প্রলুব্ধ প্রহরের অভিলাষে!

মারুবিহাগ  বসন্ত দিনের পালাগান
শোভন-শুভ  ঝিরিঝিরি বাতাসের আলিঙ্গন
একযুগ  ঝাউবন, সৈকতভূমি-- পোষমানা স্মৃতিকথা।
সব গুছিয়ে রেখেছি টেকনাফ থেকে টরন্টো-

বুকের  ভেতর দোলায়িত তরঙ্গে 
                                              মৃদঙ্গ সরোবরে।
------------------
---------------------
---------------------------------------গুছিয়ে রেখেছি।









গিরিনির্ঝর


আবার তরল
  আবার বাজীকর
খলবল করে
          ত্বকের নীচে
শিরায় শিরায়
   চলে ঝড় তান্ডব
স্বস্তি দেয় না
       উন্মাদ চাঁড়াল
আলো আর আগুন
দুই মিলে
সুপার পাওয়ার;   
 বাজীকর।
আমেরিকা, রাশিয়া।
উড়াইয়া দিয়া লহুর চনমন, চলে যায়।
একাই!
সে আগুন
নিভাতে হয়।
একাকী দুপুর,
একাকী বাঁধানো পুকুর,
নিস্তার নাই। বিস্তার পাই।
লকলকে ত্বক।
ত্বকের নীচে
ধবল সোনা।
তীক্ষ্ম ফণা মেলে, ধরে, ছেঁড়ে।
ছিঁড়ে যায় আড়াল, ছিঁড়ে যায় সময়ের হাল
বেড়া,সমাজ-সভ্যতা, ব্রহ্মান্ডের উল্কারাজী, নিহারিকা।

মায়ার কানন...
মসনদে বসে
অবাক আছেন
সকলে হাসেন
নিত্য নতুন
বাজার করেন
শুধু থলের বিড়াল
কেউ চেনেনা।