মতিউল
ইসলাম
অভিমান
তোমার গাঢ় অভিমানে কমলার ঘনঘটা,
কখন যেন তারা কমলা লেবু হয়ে যায়,
শীতের সাথে তার একটা পাতানো সই
সম্পর্ক চিরন্তন।
অভিমান আর হিমাঙ্কের নিচে জমা
বরফ
একই পর্যায় সারণিতে অবস্থান করে,
প্রত্যেক ক্রিয়ার বিপরীত ক্রিয়া
হিসাবে
জোয়ার ভাটা কখনোই মিলতে পারে না।
মিলন হবে কতো দিনে যতোই জপি
শক্তির নিত্যতা সূত্রের মতো তুমি
একই রয়ে যাও,
বস্তাভর্তি রাধার মতো।
রাধা আসলে কানু আসবেই
বাঁশি বাজবে সুমিষ্ট সুরে,
ধ্বনি তো চিরকাল প্রতিধ্বনি কে
বি পি এল তালিকা ভুক্তই ভেবেছে।
তোমার অভিমানের কমলা লেবুতে
টি টোয়েন্টি,
জয় পরাজয় নয়
বিনোদনটাই এখানে প্রাধান্য পায়।
রাতের গল্প
সোনালী বিকালে ডুব দিয়ে ভেসে ওঠা
গভীর রাত্রিতে,
বটগাছের ডালে বুড়ো প্যাঁচা
লালন ফকিরের গান গায়,
শিকারী শিকার হয়ে গেলেই
মাঝরাতে ক্যাম্প ফায়ার।
বিষন্নতার সাথে একটিপ সিঁদুর
মেশালে
যে ফুলশয্যার ছবি আঁকা হয়,
সেটা আর একটি রাতের গল্প।
রাতের পরশে খরগোশ ও বাঘ,
তার মায়াবী নীল চোখে
এক জঙ্গল দাবানল,
সূর্য উঠতেই ভোকাট্টা।
কিছু অলস বিকেল আর
নিদ্রাহীন ভোর দিয়ে যতোই
রহস্যময় রাত তৈরি করতে চাও না
কেন,
জারণ বিজারণ শেষে
পড়ে থাকে কিছু পোড়া কাঠ।
রাতের গল্পগুলো ভীষণ ভাবে
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।
.
নিঃসঙ্গ
তোর গোপন ডাইরির মাঝখানে যে নদী
তার নোনা জলে পাশেই একটি
সমুদ্রের
সন্ধান পাওয়া যায়।
কখনো ডলফিন কখনো ইলিশ
সাঁতরে চলে জানুয়ারি টু
ডিসেম্বর
ডিসেম্বর টু জানুয়ারি।
আঁচলের শেষ প্রান্তে সূর্য অস্ত
গেলেই
রিমঝিম বৃষ্টি বিছানা জুড়ে,
চোখের তারায় বন্যা আসে
ভেসে যায় পাহাড়চুড়ো
ডুবে যায় ফুলেভরা সবুজ গাছ।
তোর সিঁথিতে লালপাহাড়ির দেশ
মহুয়া বনে আদরে মাতে
সাঁওতাল মরদ আর তার প্রেয়সী,
তীব্র নেশায় চুর হলেই
তোর চোখে অমাবস্যা।
আমার এক পৃথিবী সম্পদ ,
তুই নিমিষেই বনিক,
বানিজ্যতরী ভেসেই চলে
দ্বীপ থেকে বহুদূরে,
তোর গোপন নদীও ভীষণ নিঃসঙ্গ।
তোমার আসন লুট হয়ে গেছে
যেতে পারি যাব বলেই
তারপর বললে চলো
উঠে পড়লুম চলো বলে,
বিস্মিত হয়ে চেয়ে রইলে
চোখের তারায় কাজলের মতো ভয়,
করুণ প্রার্থনা চেয়েছিলে
কাকুতি মিনতি।
তাড়া দিলাম চলো
অবাধ্য ঘোড়ার মতো তবু স্থির
যেন চিত্রশিল্পীর ক্যানভাসে
বিরামহীন তুলির আঁচড়,
যেন ভাস্কর্যের জীবন্ত নিদর্শন,
সেই থেকে পা বাড়িয়েই আছি,
আর তুমি, বিগ্রহ হয়ে
নিশ্চল।
ট্রায়াল ভার্সন
গাঁজার ছিলিমে জোরসে টান দিয়ে
বন্দেমাতরম বলার জন্য দম লাগে,
পেঁয়াজের খোলস ছাড়াতে ছাড়াতে
পড়ে থাকে শুধুই শূন্যতা।
শূন্যতাকে দেশপ্রেম দিয়ে গুন
করলে
আস্ত সিংহাসন,
উজির আমির পটেটো চিপস।
চিপস্ আর রঙিন পানীয় পৌনঃপুনিক
সম্পর্কে আবদ্ধ,
নারী বরাবরই সম্পত্তি হয়েই
অবস্থান করে।
গাঁজা টা কখনোই রাজকীয় সম্মান
পেল না,
বন্দেমাতরম উচ্চারণ করতে গিয়ে
কতোজন
রক্ত উঠে পগার পার।
সে গল্প এখন থাক
বাহুবলী থ্রী, ট্রায়াল
ভার্সন।