সত্য
রক্ষিত
বদনা
১.
বিচ্ছেদ ব্যান্ডে হু হু কাঁন্দে
নাগরিক খেঁকশিয়াল।
বারকর্ড
তর্জনী ফরোয়ার্ড
মোহিনী জটা চুল
অ্যাকস্টিক বাউল।
এখানকার শস্যক্ষেতে মেতে ওঠে
আধ্যাত্মিক গাধার পাল।
২.
সেইসব ইউক্যালিপ্টাস ঝড়ে উল্টে
যায় পূর্বাহ্নের গণেশ।
দুপুর
নূপুর
পেয়ালাপূর্ণ সুর
সে স্বপ্নপুরও পুড়ে যায়
সুন্দরবনের চিতায়
ডাকছে দেখ হরিণঘাটার জল,
বন্দিনী ইশারায়।
হাইওয়ে
আইজকা রাইতে আসমানে ঠাডা নাই
আইজকাও ওডবে না গাভিন চান্দের
বান,
ওলানের সব দুধ চুইষা নিছে
ক্ষুধার্ত রাস্তা।
ঘুমের রাজ্যে নির্ঘুম রাইত
আলেয়ার আঁচলে ভর করেছে কালা
রাইতের সাপ
চল মোরাও আলো হইয়া আন্ধারে দেই
ঝাপ।
মাঝ রাইতের কবিতায় টান মারে
নিপুন গাঁজাখোর
নিশাচরী বোষ্টমির অন্তর্বাস
ছিঁড়ে ফেলে শৈল্পিক হাত।
জোনাক চুরির দায় এড়াতে
ভেঙ্গে পরে বড় রাস্তার
ল্যামপোস্ট
কানাগলির নেরী কুত্তা ডাইকা ওঠে
চোর...
ঢের হয়েছে রাত
দৃশ্যতঃ আলো নেই
চল আমরা পালিয়ে যাই, ঘুমিয়ে যাই
সকালের কোলে।
মাইন্দার
যেমন কাকতাড়ুয়া,
হাত-পা-মাথা নাই;
নাক-চোখ-মুখ নাই।
শস্যক্ষেত আগলে রাখার জন্য
এগুলোর দরকারও নাই,
টানটান বুকের পাটা হলেই চলে।
ভামপদ্য
কাকরে যখন কাউয়া বলি
বাকিদেরকে পাখি
সুসভ্যতার লজ্জা তখন
গু-সভ্যতায় ঢাকি।
অন্ধকারে আলো খুঁজি
আলো করে খুন
মিথ্যাচারকে সত্য করি
সত্যের মুখে চুন।
বারবনিতার পদ্য লেখা
পুরুষতান্ত্রিক ছন্দে
ঈশ্বর তবে ঈশ্বরীবাজ
বহুগামিতার দ্বন্দে?
সাইকিডেলিক
এডবেস্টার টিনের বর্ষার মত
বেরসিক ঘুম
নগরের পাহারাদার
অর্ধেক বিড়ি জ্বলে যায় অর্ধেক
চাঁদে
তারপর কুত্তার বাচ্চা
স্বপ্ন নিয়ে যায়
ঘেউ! ঘেউ!! ঘেউ!!!
লবন চাষীর পিঠে রোদ্দুরের রঙ
পুড়ে যাওয়া বাঁকল
রাণী মৌমাছির নাচে দূষিত মূদ্রা
মেঘের অপরিকল্পিত বীর্যপাতে
বিলম্বিত লয়ে বেড়িয়ে যায়
সুন্দরীর প্রাণ!
কুয়াশা মূর্খ
পাণ্ডুলিপি - #ঠোকর