বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

নাসির ওয়াদেন


নাসির ওয়াদেন

আমাদের বাড়ির মধ্যেকার মে রাস্তা
             
আমাদের বাড়ির মধ্যেকার রাস্তাটা দিয়ে
রোজ সূর্য ওঠে না, চাঁদ আসে
তিনি আসেন, আসতেই থাকবেন
চারিদিকে বাজনা বাজে
রাজকীয় বাজনার হিমেল ঝর্নার সুর,
রাত বারোটা
দোতরা বাজায় কেউ নির্দিষ্ট তানে
গভীর বিশ্বাসে গাছের ছায়ারাও প্রণাম জানায়
জলদেবতা ,খোয়াজ খিজিরকে
তান্ত্রিকতা বেঁচে থাকা হাজার বছরের ঐতিহ্যে ।
                      


                




জীবন্ত প্রতিমা
               
দু চোখের পাতা বুজে থাকি সর্বদা
যদি দেখে নিই তোমাদের লোভের সরণি
একটা আস্ত পাগলের মতো আদর
আমাকে প্রতি ভোর ডাকে
প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মাঠে যাই
কুকর্মগুলো তছনছ করে ঘাসের বুক

আশ্বিনের মাঝামাঝি ঢাকের বোল ওঠে
মেজপাড়া,বড়পাড়ার ভেতরে
আমাদের পাড়া ঘুমিয়ে তখনও টাকার অভাবে

রক্তঘাম ঝরিয়ে একখানা প্রতিমা বানাই
পান্তাভাতের মদিরতায় পাড়া জেগে ওঠে
জীবন্ত প্রতিমাকে বিসর্জন দিতে খুব কষ্ট করে।






           
সেই মুখগুলি

অনন্ত অবসর নিয়ে বেঁচে আছি এটাই ভুবন
বিনা কাজে বেতনভোগ্য একটা পন্থা এখন
দুহাতে পাথর ভেঙে খেতুম ছাপোষা সংসারে
হাতদুটো আছে, ভাত নাই ঘরে
কোলের ছেলেটা উঠোনের শালিকের সাথে
খেলা করে ঘাসের ভালবাসা এক করে নিতে
ছায়া এসে সান্ত্বনা দেয় ভোরের হাওয়ার মতন
অনন্ত অবসর নিয়ে দিব্যি আছি  এটাই ভুবন

তোমরা সুখে আছো, মাসিক বেতন নিয়মে আসে
অথচ যারা কচি কচি শিশু নিয়ত ক্ষতি
ভবিষ্যৎ ভাঙচুর, সব প্রতিশ্রুতি
জলের ওমের মতো ভেঙে যায়,কত আশা কী অনায়াসে,,,
                   






                           
খেলা
                    
রাক্ষুসে দুপুর মাথার উপর ভাসে
ডাংগুলি  খেলি ও পাড়ার কৃষ্ণের সাথে
অলস বিকেল এলে তালদিঘির ঘাসে
রাণুদিরা  এক্কাদোক্কা খেলে,
আমার থেকে বছর পাঁচেক বড় হলেও
আদর করে জড়িয়ে কাছে গেলে
ঝুঁকে থাকা শালোয়ারের ফাঁকে উঁকি মারি
ডাবডাব চোখ দেখে দুপুরের রোদ লেগে আছে তাতে

রাত্রে ঘুমায় যখন মনে পড়ে হাসি হাসি মুখ,কচি ঘাস
সাত কোটালি  খেলতে খেলতে ‌ একটা বাজে স্বপ্ন দেখছি      
জিতেই সীতাকে হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে ভোরের বাতাস