বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

বিপ্লব চক্রবর্তী


বিপ্লব  চক্রবর্তী

সতর্ক  অভিযোজন

খুব সাবধানে আছি নিশ্বাসে বারুদ নিয়ে
তোমার আমার দূরত্বের মাঝ বরাবর
লেগে আছে সন্দেহ। কেউই বিশ্বাসি নই
তীক্ষ্ণ কাঁটা লেপটে আছে দোলের রঙেতে
সৃজন ভূমিতেও কথারা বাগান সাজায়
যারা আছে জন্মরোগী নিজেরাই দোসর
উল্লাস রব তুলে সচকিত করে যায়
নিজেদের গভীরতাহীন শৈশব কথন।
কালো বেড়ালের মতো অন্ধকার এগিয়ে
ধরেছে আমাদের চেনা ও চেনানোর ভাষা
ঘাতকের সব আয়োজন শেষ হয়ে গেলে
আমাদের প্রতিটি হৃদয়ে তৈরি হবে শোক
 যারা প্রিয় নারীর কাছেই পৌঁছাতে পারেনি
এখনও  তাদের জন্যই  এইসব ধাঁধা।








মাটিকে

মাটি মানেই সৃষ্টি, ছেনে লাগে বেশ
তোমাকে ভেবেছি মনে,গড়বো খায়েশ
মাটিতে লজ্জা  থাকে, মিশে থাকে বিষ
সাপের ফণাও থাকে,বুঝিনি নবিশ
কাঁকর মিশে যে ছিল, শামুকের খোলা
আঙুলে আঘাত পেয়ে, হৃদয় দু'ফলা
রক্তের  স্বরূপে আর,সৃষ্টির ঝোঁকে
অনায়াস রূপ আসে, বাঁক থেকে বাঁকে
তোমাকে  প্রতিমা ভেবে, গড়েছি যে মুখ
ভেঙে দিলে অনায়াসে। মাটির অসুখ
তুমিই  ধরিয়ে দিলে। লজ্জার ভয়ে
অমন বেদেনি ফণা, ছোবল নির্ণয়ে
নেই এতটুকু  ভুল। আমি যে কাঙাল
বারবার মাটি থেকে,কুড়োবো জঞ্জাল।








সুহাকে বলছি

কবি তো সাধারণ মনুষ্য ভিন্ন অন্যকিছু  নয়
তার যত  রাগ বিদ্বেষ ঘৃনা আর ব্যথা ও ক্ষত
অক্ষরের কাছে সমর্পন করে যায় শুধু একাকী
অনাদি অনন্তকাল ধরে সম্বল শুধু তার ভয়

ভয়টা কখনো আগুনের হল্কা  হয়ে ওঠে সুহা
ক্ষতটা অপ্রিয় করে তোলে স্বজন বান্ধব থেকে
ভয়ের পোশাকে জবুথবু কবি বর্ণমালা সাজায়
পরিণামে রাজরোষে বেছে নেয় অন্ধকার গুহা

কবি তো নগন্য মানুষ কালে ভদ্রে জোটেও দয়িতা
ভাগ্যবান ক'জন সব কবি তোমাকে কল্পনা করে বাঁচে
ভাল ও খারাপ ভাগাভাগি করে  শুধু অক্ষরের চিতায়
অতিরিক্ত যত চাওয়া জেনো কবির সেটা অক্ষমতা

আমি তো কবিই নই বর্ণমালা দেখি অসহায়  চোখে
সুহা আজও খুঁজি আমি একজন ঈশ্বর কবিকে।