হামিদুল ইসলাম
মানুষের জন্যে
মুখোশে ঢাকা রাত
কলির সন্ধ্যা
জনারণ্যে
উল্কাপাত।।
মেঘের ডানায় ছড়ায়
ক্লান্তি
বৈশাখী ঝড়
লোকারণ্যে
বিভ্রান্তি।।
গভীর রাত নিঃশব্দ
আকাশ
পেটের ছুরি কাটে ভিন
পেট
দুর্গন্ধ লাশ।।
মর্গে মর্গে একটানা
হাহাকার
অসহায় শৈশব
শিশু লাশ দেখে
বারবার।।
মৃত্যু কতো কঠিন
দেখে নেয় মৃত্যুর
কারবারি
ছিনিয়ে আনে অভিশপ্ত
দিন।।
যুদ্ধের তৎপরতায় ঘটে
যায়
মৃত্যু মিছিল
মৃত্যু হয়ে পড়ে
অসহায়।।
তবু লড়াই জীবনের অরণ্যে
লড়াই ইতিহাস
মৃত্যুকে বুকে নিয়ে
লড়াই মানুষের জন্যে।।
দুর্জয়
সারারাত জেগে থাকি
পাহারা দিই
ঘরের দরজায়
বিপন্ন জীবন
ইচ্ছেগুলো উড়ে যায়
আকাশের সীমানায় ।।
বৃক্ষের শেকড়ে খুঁজি
প্রাণের স্পন্দন
জলে জলময়
মৃত্যুকোষ
নিজেকে দেখি ফ্রেম
আঁটা আয়নায় ।।
তবু পাড়ি দিই
অথৈ সাগর
সূর্য ডুবে যায়
ভাসমান ক্যাকটাস
প্রতিটি মুহূর্ত
গুণি কল্পতরু সময়।।
খোলা হাওয়ায় তারুণ্যের
আনাগোনা
বশংবদ অনুষ্ঠান
জীবন বারুদের স্তুপ
মৃত্যুবাণ
তবু তুলে রাখি
বুকেতে দুর্জয় ।।
রক্তস্রোত
সৃষ্টির প্রত্যাশা
পেতে দাঁড়িয়ে থাকে গাছ
প্রতিটি শেকড়ে তার
বিশ্বাস অগাধ
গভীর সমুদ্র বৈতরণী
পেরিয়ে যেতে চায়
মহাকাল।।
শরীরের প্রতিটি
ভাঁজে ভাঁজে জমা
অসহিষ্ণুতা
দানা বাঁধে সময়ের ব্যবধান
নিরেট রণতরী পাড়ি
দেয় নিপুণ হাত
আসন্ন ঝোড়ো উৎসব।।
ছন্দবদ্ধ কবিতারা
বরাবর প্রসব করে এখন
গদ্য কবিতা
পান্থজনের সখাদের
উপহার
ভূতলপৃষ্ঠে এখনো
জন্ম নেয় আগাছার রাত
রক্তে ভরাট সাগর ।।
রাতের অন্ধকারে উৎসব
শেষ
অভ্যাগতরা ফিরে আসে
বাড়ি
নিখাদ মায়া
করতালি আর স্লোগানে
পালিত হয় ভাষা শহীদ দিবস
রক্তস্রোতের আড়ালে।।