অনুপ মণ্ডল
ব্যবহারিক
ব্যবহার সম্পর্কে
তুমি ব্যবহারিক,অকল্পনীয়
ঈর্ষায়
আমি জলের সঙ্গে
ছিপের সম্পর্ক খুঁজে বেড়িয়েছি
যতই কাছাকাছি আসিনা
কেন
মাঝপথে নদী একটা
পড়বেই পড়বে
একে অপরকে আঁকড়ে ধরে
ভেসে থাকা শুধু
সেতু পেরিয়ে
এপাড়ের প্রেম ওপারে
ওপাড়ের প্রেম এপারে
কেউই আমরা দিব্যচক্ষু
নিয়ে আসিনি
তবু ঝড় থেমে গেলে
ঝড়ের পরবর্তী পৃষ্ঠায়
রঙিন ছবি দেখে
আহ্লাদিত হই
চাঁদের দিকে তাকিয়ে
থাকাতে বারণ আছে
চাঁদ থেকে স্বপ্নযোগ
আসে স্বপ্নরোগও হয়
মরুভূমির মাঝে
দাঁড়িয়ে থেকে চাঁদ দেখতে দেখতে
আমি আমার উট হারিয়ে
ফেলেছি,রাস্তা হারিয়ে
দাঁড়িয়ে আছি স্তন ও
এক নিঃসঙ্গ বেহালার পাশে
পাঠ্যক্রম
প্রগাঢ় প্রতিচ্ছায়া
থেকে তুলে নিচ্ছি অভিনৌকোর পা
নৌকো সম্পর্কে তুমি
আমার ভাই
আমাকে মাঝিভাই বলে
ডেকো
বাক্সোপ্যাঁটরা
মাথায় নিয়ে
যখন তুমি পাড়ের কথা
ভাবো একাকী কুটির বানাও
ঘরে ফেরার জন্য
বেছে নাও স্তনালোকী বিকেল
আমার ছায়া তখন
গোলুইতে বসে
পা দোলাতে দোলাতে
ঢুকে যেতে থাকে
নাভিহীন নিঃসঙ্গ
কুয়াশায়
আমার যোগবিয়োগই আমার
ভোগবিলাস
আমার মেগাসিটি
দ্বন্দ্ব নেই।মেরিট লিস্টে লিপস্টিক
আমি শুধু একটা ভড়ং মাত্র।বাস্তুঘুঘু
তোমার ফাঁদ তোমার
বুদ্ধির চেয়েও জটিল অনেক
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে
মাংসের ভোজবাজি
তীক্ষ্ণ হয়ে আসছে
বাঁশির সুর;কেটে যাচ্ছে কুয়াশা
ইতি মায়া;ইতি মধ্যবর্তী।ইতি
মধ্যে জেনে গিয়েছি
দাঁড়হীন পালহীন
নৌকোর পা
এনামেল করা পাঠ্যক্রমের
মতোই নিবিড় ও সুপাঠ্য
বিবেক
থার্মোমিটারে পারদ
জ্বলছে।প্রোরোচিত হচ্ছে কেউ
আমাকে অম্লায়িত রেখে
তেঁতুল তলায় ঝরে
পড়ছে অজস্র পাতা
চৌকাঠ ডিঙিয়ে তুমি
চলে যাও উঠোন পেরিয়ে
রাজার উষ্ণীষে পাক
ধরে।রঙ লাগে শিরীষে
জরির পকেট থেকে
বিবেকের স্ক্রিপ্ট উঁকি মারে
দীর্ঘ অ্যাপ্রোচওয়ে,ঘনঘন বিড়ি পুড়ছে
রাস্তায়
একটা ডায়লগও মাঠে
মারা যাবে না
বয়স বাড়ছে,বাড়ছে জমি-জিরেত
হাওয়া মোরগের
বায়ুরোগ
মেপে মেপে পঁয়ষট্টি
কলা পঁয়ষট্টি ইঞ্চি
কাঠের একটা দাহ্য
টুকরো জোগাড় করে রেখো
জমি আমি নিজেই
বানিয়ে নেবো
ওইই তো দৈর্ঘ্য;ওইই তো আমার
জন্ম-অধিকার