বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

মোফাক হোসেন


মোফাক হোসেন

পুরোনো মাঠের ঘ্রাণ

রক্তাক্ত পায়ে সুদীর্ঘ পথ পেরিয়ে
পুরোনো মাঠের ঘ্রাণে আজও
আমার কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে
আগুনের ফুলকি জ্জ্বলে ওঠে।

কখন যে আকাশের কালো আঁচল
খোলা শরীরে, ভিজিয়ে দিয়ে যায়।
আমার শুকনো ভাঙা উঠোন, আর
রুগ্ন পলেস্তারা। ব্যাথার পিয়ালা থেকে
ভেসে যাচ্ছে স্বর্গে-র পৃথিবী
পুড়ে যাওয়া ঘর।

বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত সিঁড়ি ভেঙে
সমস্ত রাত হেঁটে চলেছি নিস্তব্ধ আনমনে,
ফিরে আসবো নতুন চশমা- টানে।
ব্যাথায় কুঁকড়ে যাওয়া ঘর,
পড়ে আছে অন্ধকার টেবিলে।







বোধদয় মুচকি হাসেন

মৃত্যু হেঁটে যাচ্ছে সূর্যের পথ ধরে
ছাতার আকাশে ভাসে আলো
ঝরে পড়ছে হলুদ পাতা
বিষণ্ণ স্বপ্নের পৃথিবীতে।

আছড়ে পড়ছে ঢেও কংক্রিটের
মেঝেতে, সফেদ সফেন উজ্জীবিত হয়
অন্ধকার কুঠরির সমুদ্রে।
বাতাসের আলিঙ্গন নির্জন
রাস্তায় সংসার পেতে বসে,
বোধোদয় যখন মুচকি হাসে।

রাতের তারা নেমে আসে তালুতে
বন্দী রঙিন বই এর পাতায়
অজান্তেই পাতা ছিড়ে
বেরিয়ে আসে প্রাণ,
চারিদিকে ওঠে কলরব
দরজায় শুনি অন্ধকারের পদধ্বনি ।






এমন করে বলো না!

এমন করে বলোনা
আমি পারবো না
নীড় হারা পাখি আজ‌ও ওড়ে
ছায়ার বুক চিরে
নদী তীরে, শবের খোঁজে।

চাঁদ ডানা মেলে জড়িয়ে ধরে পৃথিবী
রাত জাগা সূর্যের আড়ে,
গন্তব্য স্থানে ছুঁটে চলে ট্রেন
ফুটন্ত ভাতের শহরে.......
এমন করে বলোনা, আমি পারবো না!

পরিযায়ী শ্রমিকের রক্ত স্নাত পথ ভেঙে
জলের উঠোনে বিষণ্ণ রোদ আছড়ে পড়ে।
পুরোনো বিছানা নতুন করে বিছিয়ে শুবে
আহত ইতিহাসের কলঙ্কিত পাতায়,
এমন করে বলোনা........।