জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
গাঙচিল
গাঙচিলের গায়ে সোনালি
রোদ নামে
পালক জানে না রক্ত
মৎস্য বা মাংসের দাগ
গর্জনে শাসকের ভয়ের
মাত্রা কত বেশি
তার হিসাব জানে না
সমুদ্র বা গাছ
নাবালক ঢেউগুলি কাদের
মিছিলে
দেখেনি তারা
দেখেছে সংখ্যাহীন অবয়ব
নামহীন শিবগোত্র ও গোষ্ঠীতে
অন্ত্যজ তিলক কেটে
তবু ছিলো দ্বিধা।
আভিজাত্য নামের
দ্বান্দ্বিক শ্রেণিভেদ জানে
ল্যাম্পপোস্ট পাথুরে
মাটি চাবুক আর রক্তের গল্প
কৌমজনও খাদ্য আর
খাদকের গল্প চেনে।
ডারউইন ওয়ালেসের
নাতিপুতি কনুই আর
গোড়ালির গল্প জানে
তাদের প্রস্তরলিপি হায়ারোগ্লিফের চেয়ে
ঢের বেশি সংকেতময়!
শবকাম
বাঁশিটি বেজেছিলো দূর
ঠিকানায়
বহুদূর যন্ত্রতন্ত্র
পরিমাপ বোঝেনি
দিগভ্রান্ত
প্রতিধ্বনি বাঁচার জন্য
যতটা বিপাক ক্ষয় ও
সঞ্চয়
হিসাব মেলে না তুলে
রাখা স্বপ্ন বা
বোধের শুভ্রতা
আবর্জনা ক্লেদে
পলির বিভ্রম।কারা যেন
প্রবল শিকলে
বাঁধে অস্তিত্ব পথহীন
আর্তি পাথর ভাঙলে
বিকল্প দরজার যে কোনো
দুর্গম অতিক্রম
নেহাত অসম যুদ্ধ
তথাগত হয়তো বামিয়ানে
ঘুম অথবা অবচেতনে
গভীর ধ্যান।
নেক্রোফিলিয়া শব্দটি
ধূপের ধোঁয়া
বা ফুলের গন্ধ জড়িয়ে
কফিন বা কাফন
অথবা চিতাকাঠ তুলে
নিতে পারে।
শব্দচিহ্ন
নীরবতা শিখে গ্যাছে
পথের হরিণ
কার্যত সূর্যমুখী
দুএকটি দেশ আমাদের
পাহাড়ি বিশেষ এছাড়া
অমূল্য কলা হাড় বা
পেশি অমৃতের
প্রতিস্পর্ধী হয়
হতে পারে! জানেনা
স্বজন।
স্তব্ধতার স্বরলিপি
শিখে গ্যাছে নাটকের দল
ক্লাইম্যাক্সও
শব্দহীন!
জানাকথা অবান্তর
সেইসব হরবোলা রব
তারা সব বিলুপ্ত খনিজ?
অহংয়ের বিকিরণভার
সহনীয় নয়
মারণ প্রসাদ জমা
কেন্দ্রাতিগ বল
প্রেমের নিষ্ঠীবন
আমিষ আমিষ।
শান্তির নীড় খোঁজা
মানুষএখনও
প্রপিতামহের সিন্দুক
খোলে
ছুঁয়ে নিতে চায়
শব্দিত সেই পুরোনো গন্ধ
পরিবারের প্রকৃত
গুপ্তধন।