জিনিয়া রায়
নিতান্ত আটপৌরে
নিরঙ্কুশ ভালবাসার
শব্দ
যে আবহে কানে বাজার
কথা
ঠিক সেই অবস্থানে
দাঁড়ানো
দোলাচল মন বড়
ইত:স্তত।
অথচ নির্ভুল লক্ষ্যে
অটুট,
চাঁদ মারির একদম
জিরো পয়েন্টে,
কিন্তু ছুঁড়তে গিয়ে হাত ফস্কে সে এক
বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা
গ্রহের নজর বোধহয়
তখন
সুর্যের উলম্ব রেখার কাছে,
তাই আপাত দৃষ্টে যা
সাময়িক
তাই চিরন্তনী হয়ে
ইতিহাসের কাছে
গা ঘেঁষা ঘেঁষি করে।
সাহসী বাউল মন এত
ক্ষনে
যেন হাঁফ ছেড়ে
বাঁচে,
আল্টি মেটলি -
ন্যাংটোর নেই
বাটপারের ভয় ।
হিসেব ঋণী
সব ঋণ এ তুমি লেগে
থাকো
শূন্য মাখা জীবন
অঙ্কেও
বিন্দুতে সিন্ধু
দর্শনের মতো আপেক্ষিকতাবাদ,
সূত্র ধরে এগিয়ে চলি
মাপা পায়ের হিসেব
কষে
সব আব্রু থেকে রহস্য
ঝরে পড়ে
বীক্ষণের খুঁটিনাটি
ও বিচ্ছেদ রচনা করে
উনিশ বিশ হিসাবেও
কড়ে আঙুলের ছোঁওয়া
থাকে।
খাজনা মেটানো
ঋণের বোঝা
গল্প লেখে অশ্রু
জলের অক্ষর দিয়ে
সত্যের প্রেক্ষাপটে
ল.সা. গু রা
দাঁত কিড়মিড় করে
ঋণের উপত্যকায় দাঁড়িয়ে
ব্যাস হিসেব অতটুকুই ।।
চক্র
মহা প্রস্থান
সন্ধ্যার পথে
ঘুমন্ত মাঠের
চোরকাঁটার মাঝে
ধীর ও ত্রস্ত পায়ে
এগিয়ে চলে
তাদের আশপাশ থেকে
ঝরে পড়ে
জীবনের অপত্য স্নেহ-
ক্রমশ: মিলিয়ে ও
যায়
আর মহামতি শোক দুহাতের
তালুতে
মৃত্যু গন্ধ নিয়ে
রহস্যের গলিতে ঢুকে যায় -
সাথে সাথে মৃত নদীও
বিসর্পিল হয়ে বালির
চড়া জাগিয়ে রাখে
শুধু ধু ধু
প্রান্তরে ইতস্তত:
ফনী মনসার কাঁটা ঝোপ
ঝাড়ে
প্রানের শিকড় নড়ে
ওঠে
ভ্রূণ আর ভ্রম একই
হাতের মুঠোয় -!