কাকলি গুহ রক্ষিত
নীল বসন্তে, অরণ্যের ছায়ায়
নীল বসন্তে, অমসৃণ ভালোবাসায়
আমি পাতা খসার শব্দ
শুনতে পাই
ক্ষয়ে যাওয়া
বন্ধুত্বেও...
সব বন্ধুত্ব যেমন
ভালোবাসা হয় না
সব ভালোবাসাও কি
প্রেম হয়!
নাহলে পাতাগুলো
টুপটাপ ঝরে পড়বে কেন!
বিকলাঙ্গ ভালোবাসা
খোঁড়াতে খোঁড়াতে
দোড়গোড়ায় এসে আটকে
থাকে
আমি কুড়াতে থাকি
খসখসে মর্মর ধ্বনি
শঙ্খধ্বনি হয়ে বাজতে থাকে
শুকনো পাতা রেশম
রেশম ফুল হয়ে আমাকে সাজায়
আমি তখন বনদেবী, মুক্তির আঙিনায়....
নতুন দিনের আলো
রোদ্দুরের সাথে কথা
হয়েছিল মন্দ বিকেলের
প্রসারিত রোদ্দুর
সংকুচিত হয়ে বলেছিল
গোধূলির আলোয় সব
কালো ধুয়ে নিও
এখানে উন্মুক্ত
আকাশে মাটির আলপনা
মেঠোপথে দুরন্ত
গাংচিল,
কুহু
কেকার গান
কুয়াশায় ফুল ফোটার
শব্দ
বর্ষায় মন ভেজানোর
খেলা
ধূপের গন্ধে মায়াবী
কাসর
কাঠবিড়ালির লুকোচুরি
দোয়েল ফিঙের
কুমিরডাঙা...
এখানে অকৃত্রিম
বাতাস বহমান
মন্দবিকেল নদীর ঢেউ
হয়ে এসো
শ্রাবণের বৃষ্টি হয়ে
এসো
আঁধার রাতের স্রোত হয়ে
ভাসিয়ে দিও সব আবর্জনা...
সার্জিক্যাল আলোয়
ওয়ার্ডোবের শাড়ির
ভাঁজে
পুরনো ক্যালেন্ডার, সমুদ্রের নোনা ঢেউ
অটোগ্রাফের খাতা, ছেঁড়া ডায়েরির পাতা
ইতিহাসের আলোছায়া, স্থাপত্যের
ভঙ্গিমা...
এক একটা দরজা খুলে
যায়
রঙিন পর্দা ওড়ে
হাতে হাত, চায়ের কাপে টুংটাং
সোফাসেট নড়েচড়ে বসে
এক একটা দরজা খুলে
যায়
কোনটার গায়ে
যন্ত্রণা
কোনটায় ভালবাসা
একটা দরজায় অভিসার
নিভু নিভু আলো, পর্দা ওড়ে
পূর্ণিমার গোল চাঁদে যেন
ওটির সার্জিক্যাল
লাইট
মুখের ওপরে...