রুকসানা রহমান
অনামিকায় রেখেছি
যতনে
হাতটা ধরো, আমার অনামিকায় ধরে
রেখেছি তোমায়...
ভালোবাসাই শেষ আশ্রয়
-বিশ্বাস,
ভরসা...
যেখানেই থাকি, ভেবোনা হারিয়ে যাবো
তোমার হৃদয়ে ভ্রমন
করে যাবো অনাদিকাল।
কখনো একগ্লাস শরাবে, সম্পর্কের গল্পে, অথবা আবেগপূর্ণ
প্রণয় যুদ্ধের সামাজিক ময়দানে...
আমার স্বপ্ন
স্বর্গীয় দৃষ্টি, তোমার রুক্ষ ওষ্ঠে পুড়ি...!
কখনোবা হাঁটি মহার্ঘ
নিশ্বাস টেনে
তুমি- ই –সেই- তুমি, ছুঁয়ে যাই...
যে ভাবে রঙধনু
স্পর্শ করে আকাশ।
সখনো কবিতার শব্দ
ভাঙার,
শব্দ
সাজাই
ঝাপ দেয় তোমার মৌন
মহিমার কয়েদ খানায়।
শুনতে কি পাও শব্দের
সফর? খুব কাছে , খুব কাছে...!
ভালোবেসে খুন করেছো
অনায়াসে।
শীত কুয়াশার ডিঙ্গি
চাঁদ, মৃগয়া মাঠে যেদিন
প্রথম এলে,
সেই আলোয় নীলকন্ঠ
রাতের বাতাসের মাতাল গানে
মুখোমুখি, ভেসে যাই -ডুবে যাই
-মরে যাই দুজনায়...
হাতটা ধরো, আমার অনামিকায়
তোমাকে রেখেছি
যতনে...!
থমকে যাওয়া বাসস্টপে***
ব্যস্ত জীবন তবুও
যদি আমার রোডের
সামনে এসে থমকে
যাওয়া বাসস্টপে,
নাহয় একটু দেখে যেও
চোখের তাঁরায়
এই তোমাকে...!
শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামা অভিমানী নিরব নদীর
খবর শুনে পড়িমরি...
অচেতন এই দেহখানি
রেখো ধরে বুকের কাছে ,
চোখের কোনায় শুকনো
জলের চিহ্ন মুছে,
আলতো হাতে সুরমা
এঁকো।
যখন একলা হবে ছুটোনা
আর দিশেহারা,
হয়তো তখন পড়বে মনে
ধানের শীষে রোদ
বিছিয়ে সূর্য দিয়েছিলে।
হঠাৎ তখন গুমরে ওঠা
কান্না যদি ভীষণ কষ্টো...
জানালার ঐ-পাল্লা
খুলে ট্যালিপ্যাথি করে দেখো ,
নীল আকাশের
অনিঃশেষের জংশনে একলা
এক ধ্রুবতারা
অপেক্ষায়...!
পৃথিবী ঘুমায়
নিরুদ্দেশে
কিছু স্বপ্ন ভেজা
শিশির সবুজ পালকে ওড়ে
কিছু লেখা খেলার
মায়াজালে বাঁধে,
ভালোবাসা...!
এই ছায়া, ছায়ামেঘ আবছায়া,
উল্টে যাওয়া রিকশা, হঠাৎ বুকের পাঁজর
ভাঙ্গা,
তবু ছোটা সাতাশ
নাব্বার থেকে বত্রিশের লেক পাড়,
জলসিড়ি ভেঙে বসা।
বিকেলের গেরুয়া রঙ
লুটায় জলে,
কিছু
আশা অপেক্ষা
জল জানালায় কষ্টের
বলয় এঁকে বলে-
কুছ ভি, না, কঁহ্যো...
তোলা থাক,কিছু রাত,শ্রাবণের ঐ-দ্বার
পৃথিবী ঘুমায় এখন
নিরুদ্দেশে...!