বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

দেবযানী বসু


দেবযানী বসু

আত্মনেপদী জল

চিরবসন্তের দেশে গাছের রঙ একচেটিয়া কারবার করে। পনিঘোড়ার আদুরে ভঙ্গি আর কণ্ঠে সেই বংশানুক্রমিক হুমকি। হুমকি বসত করে সঙ্গীত শেখানোর স্কুলে। অনুরোধ আসে মাকড়শাপলার ছোটবেলা লেখার। মহাকাশের আগের স্টেশনটির অজর অমর আত্মা। কাগজের সেপাইরা ভিজে যায় ঐ উচ্চতায়। ওখানকার শরীরে আত্মার ভাগ বেশি। নতুন বানানপদ্ধতির মালাই কারা চেটেপুটে খাচ্ছে। চেষ্টা করছি প্রেমকে তানপ্রধান করে তোলার। আত্মা জলের ভিতর কথা বলে।







জলের গরাদরেখা

সমুদ্র ফিরিয়েছে আপাতত আমার চোখ নাক আর অচেনা থুতনি। থুতনির অনুমোদনযোগ্য  হলুদ ফাইলের ভালোবাসায়। তরঙ্গদের জলডাক পুং টুং কর্কশ আর ভারি ভারি। শরতের বিকেল ডিজিটাল রেশন কার্ডের সম্মান পাচ্ছেন। বাকি শরীরের গচ্ছিতনামা হারিয়েছে সমুদ্র নিজে। একরাতে বার্তার বোতামঘর আগুনের গভীরতায় চলে গেলে প্রদীপ হাতে বামির মতোই আমি হারিয়ে গেলাম। সেই থেকে সম্পর্ক বালিখেলার ভিতর চুঁয়ে পড়ছে।







জলমানব

পায়ের তলায় সামান্য যা রেখা আছে তাই প্রমাণপত্র মর্গের সংসারের সংলগ্ন নিরাপদে উটের আক্রমণ বাঁচিয়ে তোলা উঁচানো হিজরের উল্কিগাঁথা খিদে মামাকাকাদের মহাজনপথে উঁকি মারি। নিশ্চিন্তে থাকি পথ এসে একদিন ছিনাবে আমাকে। লাশমানুষের জীবন্ত কবর এই ঘর। তিতকুটে আলোর মেজাজ হজমসহায়ক। লাবণ্য খোঁজার চলে লাবণ্য গায়েব করে রাখি। নিজের মতো কাউকে দেখেছে তাই বিদ্যুৎ মাছ ডাঙায় উঠছে জল ছেড়ে।