বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

সৌমিত্র চক্রবর্তী


সৌমিত্র চক্রবর্তী

অন্ধনগরী

শুকনো এসফল্টের চকচকে নিতম্বে
রাত্রি প্রতিবিম্বিত,

প্রতিহত কামনার মিশকালো ধোঁয়া
অক্সাইড বিভাজনের একাকী নরক,

সুধী মস্তিষ্ক লোভনীয় সুখটানে,

ন্যস্ত কর্তব্যগুলো
একে একে পথ হারায় জটিল আঁধারে।

শকুনিও বিলুপ্তপ্রায় দুর্লভ পুরাণে,

পড়ে থাকে আঁধারনগরী
অগুন্তি নামহীন শবের ছায়ায়।






বৃষ্টি বর্ণ ক্রম

এক মাঠ কচি লম্বা ঘাস
একটু সোনালি রোদের আদরেই
ভানুমতি ম্যাজিকে কাশ হয়ে যায়,
সেই ছোট্ট পায়ে একাদোক্কা
খেলে যাওয়া ঘামতেল মুখ
হঠাৎ যেমন কুর্তি জিনসের
আরক্ত কলেজগামিনী!

রাতবিরেতের মুঠোভাষ চমকে
ফিরে ফিরে তাকায়, কারন
খোঁজার বৃথা চেষ্টায়
কালোর আঁচলে টুপটুপিয়ে
চরে বেড়ায় নিখোঁজ রাতঘুম;
শুধু কড়িকাঠের বৃত্তান্ত খোঁজ,
শুধু জানলার বাইরে অন্ধকারের
মুখের বলিরেখা গোনা...

শেষ বর্ষাচুমু কেমন আসক্তিহীন
ওপাশে এপাশে গাছের পাতায় ফিসফিস
পাগল মুখ আর মুখোশের
নির্বীজ লড়াইয়ের মাঝেই
কখনো টুপটাপ
কখনো ঝমঝম।







শোক অন্তে

শোক ফুরিয়ে গেলে
কান্নার শেষ জলটুকু শুকিয়ে আসছে
চোখের কোল আর গাল বেয়ে
রেখে গেছে অন্তিম মিনতির রঙশূন্য দাগ
যুদ্ধের ক্ষতবিক্ষত উঠানে এক পাশ
ফিরে পড়ে আছে হার না মানা আন্তিগোনে
চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা অজস্র সহচরের
লাশের ঠোঁটে লেগে আছে না ফুরানো
একচিলতে বাদামী হাসির টুকরো
কান্নার শেষ অক্ষর দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে আন্তিগোনে
দ্রুত সেই জায়গার দখল নিচ্ছে ভিসুভিয়াসের রাগ