সাহিন আক্তার কারিকর
রাত
চিৎ হয়ে
শুয়ে থাকা কলাগাছের পেট চিরে গর্ভবতী যোনিতে মুখ রেখে প্রেশারের রুগী দীর্ঘশ্বাস
নেয়, স্বাক্ষর আর
সত্বীতের জন্য লজ্জাবতী এত দিন লুকিয়ে ছিল স্বচ্ছজল ভাসমান বরফের ভিতর।
যুবতী
শামুক ডিম পাড়ে, অন্ধকারে সন্ধিহীন সাপের বিষে চুমু খায় নির্লজ্জ হৃদয়, রাত জাগে ঋণ নিয়ে
কৃষ্ণার দ্বাদশী চাঁদ।
চৈত্র
সেলের আগে পরকীয়া প্রেম কোকিল পুড়িয়ে
শক্তির
আয়োজন করে,
তারপর
যেই দিন সেই রাত থেকে যায় কম্পাসের কাঁটায়।
সূর্য কে ভালোবেসে
সবুজ ক্ষেত দুর্ভিক্ষের শিকার
হয় শেষ রাতে
ঠিক যেমন ভাবে তারা খসে।
কিন্তু আমি বিশ্বস্ত আটপৌরে
শাড়ির বুকে মাথা রেখে ঘুমায়।
কাক ডাকে আর বিজোড় শালিকের
ঝগড়াই
আকাশের রঙ বদলে গেলে ফুটপাত হয়
লাল,
অশ্বত্থ ছায়া গিলে ফেলে সূর্য।
ক্রমশ ভেঙে যায় উর্বর বাসভূমি
কেঁচোদের একতাই যে ঘৃণা
নিশ্চিত তা দিয়ে তৈরি হয়
মৃত্যু ফাঁস।
করর্জীণ দলিল এর পিঠে লাল সূর্য
উঠবে একদিন
তাকে বুক পকেটে নিয়ে বলব শেষ
কোনো এক রাতে - -
মাটি ভালোবাসি তাই মাঠে যাই।
আস্তানা
রাত আর
রজনীগন্ধার পার্থক্য না বুঝেই বাঁ হাতে রিটার্ন ট্রেনের টিকিট কেটেছি টিটির কাছ
থেকে। তোমার বলা, পৃথিবীর উপরে এক আকাশ তারা
অন্ধারণ্যের রৌমক উপন্যাস পিছনে ফিরে তাল পাতার মোড়কে গাজা টানছে পথভ্রষ্ট
জুয়ালি। এবার উল্টো সিটে বসলাম, দেখলাম আমার স্বপ্নরা বাই বাই করে চলে যাচ্ছে আগন্তুক
আস্তানায়। হকারের সাথে হরতালের কোনো অবৈধ সম্পর্ক নেই
লাফিয়ে
লাফিয়ে নতুন মুখ চেনে আগুন সাক্ষী সুখ কেনে দাম্পত্য জীবন আর কেউ সমাধির উপর ভাঙা
কলসি রাখে ঋণ শোধ করে।
সাদা ও লাল
সাদা পায়রা আকাশে উড়ানোর পর
হাতে কয়েকটি পালক, তা নিয়ে বাজারে
যেতেই
অজ্ঞাত ফুল বিক্রেতা হাতে
ধরিয়ে দিল
একটি লাল গোলাপ।
এই লাল গোলাপের ২ পাই r যদি ☓ ধরি
তাহলে নিশ্চিত কোনো এক
সন্ধ্যায় Y
পাব।
হিসাবের খাতায় একটা মাকড়সা
রেখে
উষার আগে ঘুমতে যাব, ঠিক অমনি সময়
অবিকল আমার ছায়ায় মত একটি
মানুষ
চোখ মুছতে মুছতে বলে গেল আর
কিছুক্ষণ বাকি... ।