পার্থপ্রতীম মিশ্র
ধ্যান
দম দেওয়া পুতুল
কিংবা ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির নই,
ইচ্ছে খুশি নাচাবে,
ইন্ধন দেবে পাশা
খেলায়!
আর পা বাড়িয়ে
পুরো রাষ্ট্রকে বাজি
রেখে বসে পড়বো।
ধর্মযুদ্ধের ডাকে ধূ
ধূ কুরুক্ষেত্র;
হ্রেষা ধ্বনি তুলে
বাতাস যতই করো ভারি,
যতই বানাও জতুগৃহ, আমি এর মধ্যে নেই।
আমার একলব্য জীবন
বরং
এই ভিজে রোদের কোলে
ধরিত্রী ধ্যানে
শুভ্র সরল চালতা ফুল
দেখে,
আকন্দ রঙ মেখে
মেদিনী আসনে ডুবে যাবে ধ্যানে...
তৈরি হবে অক্ষর
বলয়।
শব্দব্রহ্ম জাগিয়ে
শিখে নেব মাটি মায়ের গান...
আমি আর প্রিয়
দুঃখেরা
প্রিয় দুঃখেরা
সংখ্যাতত্ত্ব;
সারা ক্যালেন্ডার
জুড়ে।
মাঝে মাঝে ধুলো
ঝেড়ে পাতা উল্টে
সঙ্গোপনে ওদের সাথে
বসি।
সংখ্যা সব ঋতুকথা; বলে যায় ফসলের
গান...
আজকাল
স্ট্র্যাটেজিতে এনেছি বদল।
ওদের হ্যাঙ্গারে
ঝুলিয়ে দিই সূর্যের নিচে।
শুকনো হয়, ঝলমল পোশাকের রঙে
উজ্জ্বলতা ছড়ায়।
উষ্ণ অনুরাগে সেরে
নিই পোশাক বদল।
নানা রঙে দুঃখেরা
আলো জ্বালে;
আমায়
পথ দেখায়...
কবিতা
লঙ্কাজবাটি হয়ে এই
মেঘহীন সূর্যের ওমে
গা ভাসিয়ে দিব্যি
লুটোপুটি খাচ্ছো
আর মিঠে উষ্ণ ঠোঁটে
ধরছো সিম্ফোনি...
জানি, এই রাগেই আমার
সঞ্চিত পরাগ-
যাবতীয় ডানার
ঝাপট-আগুন ভাষা আর ভক্তি পয়ার...
ঝাপটে লেগে থাকে
দূরযাত্রার আহ্বান;
লবণাক্ত সংগ্রাম
ভাষায় জিইয়ে রাখি
সুগ্রীবের লঙ্কাকাণ্ড
কন্ঠে ভাসে পয়ার
পাঁচালী;
রামায়ণ
গান...