শ্রাবণী সিংহ
এক মুগ্ধ জাগতিক
উপাখ্যান
অতঃপর
জুলাইয়ের বৃষ্টির
সুগম হল পথ
চাবুকের মত পার্বত্য
দাগে ..
আষাঢ়ের গল্পকথায়
নেমে আসে
পাহাড়-ধোয়া জলের
আদিম স্রোত,
বাসস্থান উপচে পড়া
এই বহতা জলে
ঘূর্ণিপাক খায়
শহরের
অবিমৃশ্যকারিতা,
ব্যাধি ও দূর্বলতাস
সমগ্র বাক্-বিতন্ডার
শেষে পড়ে থাকে
পেছনে এক মুগ্ধ জগৎ
মোহ ও মৃত্যু আবেশে
যতদূর চোখ যায়
পালাতে চাই এই দৃশ্য
থেকে,
এই রসায়ন সবুজ
সবকিছু থেকে।
পালাতে ইচ্ছে করলেই
ডানা মেলি...
এই পথভার অন্তরায়
হয়ে দাঁড়ায়।
অক্টোপাসের মত আটটি
গলি।
সখ্যতা মেশানো
ছাতিমগাছ
আর ওই পর্যন্তই তার
পরিধি।
নজরমিনার থেকে নিকট
জঙ্গলে
একটা পথছায়া
যতদূর চোখ যায়
……
পালানো হয় না আর
তোমার চোখের ইশারায়
আগামীর বিশ্রাম,
দাঁড়িয়ে আছি বিবশ
নারী।
এবং খুব রাত্রি হলে
এবং খুব রাত্রি হলে
এইখানে গা ছমছম
অন্ধকার ছিল ভা
বতে ভালো লাগে
আর সকাল হলেই সব
ভ্যানিশ
মাধ্যমহীন শূন্যের
শব্দ-সঞ্চালনে
পুরনো পাতার মত
আবেগের জল খসে পড়ে।
স্বপ্ন গলিয়ে
বসতালির দু একটা জানলা
এমনিই খুলে যায়,পাখিই ভোরবার্তা
তারপরও কিছু কিন্তু
ও অথবা পড়ে রইল
পাঁচিলে আটকে রইল
ভেজা সাপের শরীর
আর মধ্যরাতের
কান্নার ঘুঙুর
উজালায় যেতেই উড়ে
গেল সব