বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

গৌতম কুমার গুপ্ত


গৌতম কুমার গুপ্ত

শুধু একবার

শুধু একবার উঠে দাঁড়াতে চাই
গঠনভঙ্গিমায় একবার
          ঋজু সরলরেখায়

জঘন্যগুলো থামাতে চাই
ঘৃণাবহ্নির পাতক

পায়ের ন্যুব্জ প্রতিবন্ধী ভেঙে যাক
সোজা হোক দৃঢ় হোক অস্থির
লৌহ ধাতব কঠিন

জীবনের সমন ছুঁড়েছে কীটদুষ্ট জৈব
মৃত হোক অজৈব






কবিতা কথা

এই কবিতাটি মোটেই নয় ভালো
সরিয়ে রাখি মন খারাপের বিকেল
নিজের ভেতর শব্দ খুঁজি স্বতঃই
যদি এগিয়ে আসে সাঝবাতিটির তারা

আমাকে এখন বোঝে না ছাই কেউ
পরিচিত নক্ষত্র যায় সরে চাঁদও বিমুখ
আকাশলীনা গরিমা ফোটায় নিজের
মেঘবৃষ্টির লুকোচুরি আমার চোখে ভাসে

অন্ধত্বে খুঁজতে থাকি বাক্যমোহ কানাকড়ি
জলের ভেতর ডুবতে থাকে শরীর
হাত পা ছুঁড়ি কোথায় খড়কূটো
ডোবার আগে পেতাম যদি খাঁটি

কাগজ কলম খুঁজে চলে কাব্য কথা
সেই কাব্যের জন্ম হলে পরে
কবির শরীর হালকা হতো ভারে
মনখারাপের বিকেলও যেতো সরে

তৃপ্ত হযে কবির সঙ্গে হাত মেলাতাম তখন
একে একে জুটতো সবাই
জমতো তখন ভালো একটি কাব্যপাঠের আসর







প্রপাতে

যেতে বলেছিল ফিরে
          হয় নি যাওয়া
মন উপুড় করে দেখি
যদি থাকে পিছুটান
সেই কিছু নেই সুতরাং
প্রত্যর্পণে শরীর দেয নি ফেরা

বুঝ থেকে সরাই অবুঝ
ফিরেও চোখ রাখি নি অস্তাচলে

প্রবীণ কুয়াশা ঘিরে ঋতবাক ভাষা
জন্ম থেকে যেতে হবে ঊর্ণনাভ পথে
সেটুকুই শিরোধার্য নিয়তির ফের
         নিজস্ব প্রপাতে