রবীন বসু
"উমর ভর গালিব ইয়হি
ভুল করতা রহা,
ধূল চেহরে পর, আউর আইনা সাফ করতা
রহা।"
উন্মূল সময়
প্রলম্বিত এই মহাশোক
উত্থিত অসহায়তা
কাঁচঘেরা বন্দীজীবন
শুধু নয়
প্রান্তর প্রান্তর
মাড়িয়ে-আসা দীর্ঘ পথচলা
অবিশ্রান্ত ঘাম
ক্ষুধা রক্ত আর বঞ্চনার
শোকলিপি লিখে রাখে
রাস্তার কল
প্রবাহ জলে নেই
দুঃখের নিরন্তর যাত্রায়
ভেসে ওঠে হা-অন্ন
দেশ
বিশ্বব্যাপী মহামারী
আগন্তুক অণুজীব
স্থিতাবস্থা কুরে
খায় অদৃশ্য নখে
সংক্রমণ ভারী হয়
ব্যাপ্ত শীতলতা ঢাকে
চাঁদ শুধু মিটিমিটি
হাসে কলঙ্ক মাখবে না বলে
সভ্যতার ঘাড় ভাঙে ইতিহাস
কথা বলবে পরে…
তোমার শ্রমের ঘামে
আজ এই নিরালম্ব দিন
হেঁটে এল ঘরে
চিৎসাঁতারে ভাসে
গুমোট গৃহান্ধকার
তিজেল হাঁড়ির মধ্যে
যৎসামান্য খুদকুঁড়ো
ক্ষুধা চেয়ে চেয়ে
দেখে
মধ্যরাত পাড়ি দিয়ে
চাঁদ ক্লান্ত
জোনাকিরাও শয্যা
পাতে ঘুমুতে যাবে
অবশেষ গায়ে মেখে
নিদ্রাচ্ছন্ন দূরের গ্যালাক্সি
রাত্রি অবসানে ফিনকি
দিয়ে বেরিয়ে আসবে
নতুন দিনের সূর্য ; তুমি তাকে বসতে দিও
পিঁড়ি পেতে খেতে
দিও খুদসিদ্ধ
হাঁ-মুখ সভ্যতা পেটপুরে কিছু উষ্ণতা ভরে নিক
তোমার শ্রমের ঘামে
বাড়িঘর আলোকিত হোক…
সময়ের অন্নপূর্ণা
উন্মূল সময়-ঘিরে
ত্রস্ততার ঢেউ ভাঙে
বাইপাস সংলগ্ন
রেস্তোরাঁ রাত্রির গভীরতা মাপে
মেপে নেয় আদিমতা
সভ্যতার জৌলুস খুলে
রাখে পানপাত্র
শেয়ার মার্কেটের ধস, খয়েরি পানের পিক
চিত্রিত অসৌজন্য
অসভ্যতার হাত ধরে
তবু বিরামহীন
শ্রমিকদের যাত্রা
আহ্লাদ পরিপুষ্ট রাজনৈতিক
নষ্টামি দ্যাখে
দেখে নেয় মাইল মাইল
শূন্যতা
ত্রিশঙ্কু ঝুলে আছে
জীবন দিনাতিপাত
সারা বিশ্ব অন্নহীন, যোগবলে হাত পাতো হে
ঈশ্বর
মুষ্টিভিক্ষা দিয়ে
যাক লণ্ডভণ্ড সময়ের অন্নপূর্ণা…