অনিন্দিতা সেন
স্বচ্ছতা
এমন যদি হত কখনো
বৃষ্টি ধোয়া রাতে,
মনের পাতে পড়ে থাকা
হিমবাহের তুষারকণা
নিজের মত আড়াল করে
অলীক কল্পনাতে!
তুমিও আছো, আমিও সেই
আছিই সবখানেতে।
চিবুক ছুঁয়ে আলতো করে
গড়ানো যত ব্যথা,
বিষাদ হাওয়ার কাঁপন
মেখে
এলোমেলো ছন্দ গাঁথা,
মিশুক না কিছু ঘোলা
জল
বুকের স্বচ্ছতাতে
এমন দিনে কেউ কি পারে
তোমায় ছেড়ে যেতে?
খুঁজেই না হয় নেব
তোমায়
পরিযায়ী পাখির দলে
ঠোঁট ডুবোনো ভালবাসার
নিবিড় চঞ্চুতে,
ফুরিয়ে যাব শেষ
প্রহরে
শ্রাবণ শেষের রোদন
ঘিরে
জোনাক মেশা মাঠ
পেরোনো
নীরব মায়ার রাতে,
ঝাঁপিয়ে আসা বৃষ্টি
কথাও
খুঁজবে মেঘের
স্বরলিপি
ফিরে আসা এই অবেলায়
আমার সোনার ক্ষেতে!
অস্তরাগ
চেয়েছিলাম আলোর জাফরি
কাটা পাতার সংসার
ছায়াময়
নিভৃতি...অভিমানী বাতাস
নিজের করে!
অস্তরাগের নিভু আঁচে
তেরছা গোধূলি
যখন এসে পড়ত দুধ জমা
হিজল মাঠে...
চুপি চুপি জানান দিত
স্বজন হারানো
বুনো ঢেউ।
তখনো কি হলুদ, কি বিষাদ
সেই সংক্রমিত আলোয়!
আমার ঘরে ভীষণ খোলা
আলনা
কুলুঙ্গির তাক...
ঘোমটা ঢাকা পিলসুজ
গরাদ খোলা জালনা!
তবুও সেই নির্জনতার
পারে
হিজল মাঠের গোধূলি
রাঙা তোমায়
নিজের করে পাওয়া
হয়নি কখনো...
যাকে তুমি দুপুর
গড়িয়ে বিকেল
বলো!
শিহরণ
জ্যোছনা বোধে মনের
ছাপে বাঁধন
দারুন শিহরণ,
এমন করে ভিতর বাগে
উজার করে ডাকলে প'রে
পালক খসা
যন্ত্রণার... অবাক
বিস্মরণ!
মানিয়ে নেওয়া এই
অবেলা
দূরত্ব ছাই সাজিয়ে
রাখা
সঞ্চয় হীন প্লাবন
ঘুমে... হঠাৎ
গুঞ্জরণ,
তেমন ব্যাকুল রৌদ্র
পেলে
পড়শি মেঘের আঁচড় দিলে
পরিমিত
নির্জনতার...অচেনা
ভাঙন,
শ্রাবণ এলে খনন করি
ভিজিয়ে দেওয়া চোখের
ভূমি
টুকরো করি মায়ার
জালে...মিথ্যে
আবরণ,
অবাক চোখের কল্পনাতে
দারুন শিহরণ!