অপর্ণা বসু
বোতামঘর
তোমার নিশ্চিত কোন বোতামঘর নেই
সেখানে কিছু অসতর্ক মুহূর্তের ফ্রেম
সুতোর পারম্পর্যে
ভরাট হয়ে উঠেছে
আমি তাতে আলো ফেলছি
জোনাকির মত
আর প্রতিদিন ভেসে
যাচ্ছি বিলাপে
আমার উন্মুখ সন্ধ্যা
ঢেকে ফেলছ
রক্তমাখা সান্দ্র
শব্দবন্ধে
বর্ষা ও শীতের
ব্যবধানে পাতারা সবুজ হচ্ছে
বালিয়াড়ি তে গড়ে
উঠছে একটা আস্ত সংসার
কিন্তু তার কোন
বোতামঘর নেই।
জিজীবিষা
তুমি
হেঁটে আসছ রুমালে মুখ ঢেকে
বিষাদ
উপসর্গ ঘিরে আছে তোমায়
সেতু পেরিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
আধখানা চাঁদ
তার ফ্যাকাসে মুখে ক্লান্তি লেগে
গাছের পাতারা কেমন
নিস্পন্দ
বাতাস থমথমে হয়ে আছে
দূর থেকে কোন পবিত্র ঘণ্টাধ্বনি ভেসে আসছে না
কিন্তু তুমি এসব কিছুই দেখছনা
শুধু এসব দৃশ্যের ভেতর দিয়ে হেঁটে চলেছ
ঋজু ভাবে
আর তোমার বুকে নেমে আসছে
এক
অনন্ত জিজীবিষা ।
থাবা
মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে আসছে
জটিল ও পরিবর্তনীয়
চরিত্ররা
আমি এর নিরাময়
জানিনা
সে নখ বার করে তেড়ে
আসছে
আর আমি নিরাপদ গর্তে
ঢুকে পড়ছি
যুদ্ধ করব বলে
গর্তে জড় করেছি সংসার ও সন্তান
লুকিয়ে লুকিয়ে
অভ্যাস বদলাচ্ছি
ফেনায় ফেনায় ধুয়ে
ফেলছি পাপ
ঘুম আসছে ঘুম ভাঙছে
ঘুমন্ত স্বপ্নের
সমুদ্রস্নানে
বার বার ভেসে আসছে
ওর করাল থাবা।