এ কে এম আব্দুল্লাহ
পুড়া
পৃথিবীটা মাথায়
নিয়ে,প্রতিরোজ
আমি পার হই
সেতুগুলো।
আর প্রতিদিন একেকটি
সেতু হই।
আমার রেলিং ধরে ঝুলে
থাকে
আমার আধমরা সংসার।
চাঁদকে বলো— আগুনের
সাথে ঘর
করে,জন্ম থেকেই আমিও
পোড়ছি।
এখন, ব্যাণ্ডেজ করা
হার্টের ভেতর
উঁকি দিচ্ছে,এক কিলোওয়াটস
আগুন।
লোডশেডিং
পকেটের ভেতর থেকে
ওঠে এলে দীর্ঘশ্বাস
তিনটুকরো ইটের
চুলোয়
খড়ের আগুনে পুড়ে
দৃষ্টিগুলো।
আর চামড়ার ভেতর
শুরু হয়
শুকনো হাড্ডির
ঝটিকা মিছিল।
এরপর প্রতিদিন
কবরের পাশ দিয়ে
হেঁটে হেঁটে যাই
শহরের দিকে।
প্রতিদিন ফিরে আসি
খালি হাতে
দীর্ঘলাইনের পেছন
থেকে।
এখন শিশুবেলার মত,কেবল
স্মরণ করছি কিছু
পবিত্র আয়াত।
ফোসকা ওঠা সময়
উল্টোচোখে হেঁটে
যাচ্ছে পৃথিবী
আমি দাঁড়িয়ে আছি
ডোবার জলে।
কচ্ছপের মতো সূর্য
গলা বের করে ঢুকে
যাচ্ছে
খোলসের ভেতর।
যে তীব্রতা অনুভব
করবো বলে
দাঁড়িয়ে ছিলাম ;
বৃক্ষের ঝরে পড়া
পাতায় ডুবে যাচ্ছে
পা।
এখন— দেহের লোমকূপ
হারিয়ে যাচ্ছে—
ঢেকে যাচ্ছে
হাতের রেখা
বিষণ্ণতার ফেনায়।
সাবানে হাঁটু গেড়ে
শ্বাস নিতে নিতে
ভেতর থেকে ছুটে
যাচ্ছে প্রেমিক ঘোড়া।
এখন শ্বাস উড়ে
যাওয়া
দৃশ্য দেখতে দেখতে
মুখস্ত করছি জীবনের
স্পন্দন।