ঐশী চক্রবর্তী
এসো যুদ্ধে, এসো স্বপ্নে
তোমাকে গহন রাতের
মতো কোথাও পাইনি আর
সূক্ষ্ম-দীঘল অবয়ব
যেমন জীবাত্মার
নশ্বর দেহে কৌমার-যৌবন-জরা
অতিমারি— মৃত্যু
আসে— প্রণয়ক্ষণে
যুবকদের মতো করে
কোথাও পাইনি তোমায়
না হত্যা করে, না হত হয়
হৃষীকেশ—পুরুষশ্রেষ্ঠ, তোমায়
মেঘবানদের মতো করে
কোথাও পাইনি কেন?
রক্তচিহ্ন খুঁজে
খুঁজে এখানে এসেছি
হিন্দুকুশ, পাটখেত, প্রতীতির কাছে
বৈরাগী নদীটির কাছে
তুমি কেন নেই?
মন্বন্তরে— শ্মশানে—
অনন্ত বৈভবে
আসক্তিহীন ভিক্ষুক
আসে ধনাঢ্য পায়ে
অক্ষৌহিণী সেনা ছেড়ে, ঈশ্বর তোমায়
চেয়েছি— চাবুক লাগাম
হাতে
সর্বস্বপ্নে—
মোক্ষে— পীড়ায়
পাঞ্চজন্য বাজাবে
দ্বারকাধীশ?
অঝোর-অভিসার
অঝোরে শুধাই মোহ-নাম
অমৃতে ভালোবেসে
নীরদ-অভিসার...
সগর্বে বাকতন্বী—
কোমরের বিছে
সোনা নিয়ে পালিয়েছি,
পূর্বজন্মে
স্পষ্ট-কালচিতি
এ আষাঢ়ে শিশোদীয়
স্থাপত্যে পৌঁছতে পারলে
হর্ম্য, মিনার, গম্বুজ, অতীন্দ্রিয় প্রহরীরা
বলেছে বস্ত্র দেবে—
অন্তরাত্মা না!
স্মৃতিলোপ, মোহনষ্ট, খনিজে-খনিজে
শহরে সুমধুর
অগ্ন্যুৎপাত হয়…
আসে বকুলগন্ধ
আমাকে আমি ভালো
বলিনি
তোমাকেও বলব না
আহা রে! ঘামের
স্পর্শ
অববাহিকা ছেড়ে
কোথা থেকে আনো
বকুলগন্ধ,
ব্যাকুল নীরদকণা?
স্বরচিত কল্পনা--
বিশাখ নামের ছেলেটির
মতো
আত্মহুতিপ্রবণ!
টুকরো লজ্জানখর
ভেঙে চলে যায় দিন
আমি উদ্ধত হলে
তুমিও হৃদয়হীন...