সমর্পিতা ঘটক
অবশ্যম্ভাবী
আপশোশ, বেদনা নিরন্তর শোক
প্রস্তাব পাঠ করে চলেছে
এটা পেলেনা, ওইটা হল না, হু হু সুড়ঙ্গমুখে
একলা বেহালাবাদক,
পায়ের শব্দ সিঁড়ির
শেষ ধাপে এসে মিলিয়ে যায়...
হলুদ খাম, মাতাহারি জীবন টেনে
নিয়ে যায় শোক-পোশাকের কাছে।
দেওয়ালে টাঙানো কালো
কোট, কালো গাউন ঝুলে আছে
বাদুড়ের মতো,
নেমে আসবে নিকষ
রাতের মতো অবশ্যম্ভাবী হয়ে।
দেওয়ালের পেছনে কে ও? ছুরি হাতে!
পাপের মতো ছায়া পিছু
নেয় ঘরের ভেতর।
ভালোবাসা ও সংসার
ভালোবাসা ঠিক তেমন
নয় যেমনটা ভেবে এসেছি এতদিন,
ভালোবাসা অনেকটা
সংসারের মতো...
কাশ্মীরি কার্পেটের
পাশেই মুড়ো ঝাঁটা থাকে সেখানে,
মখমলি ওয়াড় পরানো
দুটি বালিশের মাঝে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম।
গনগনে বালিয়াড়ি, পা পোড়ে তাপে, অথচ
অন্যত্র পা ফেলার
জায়গা বিশেষ নেই।
সংসার ঠিক তেমন
যেখানে ত্যাগের তাগিদ যথেষ্ট,
সন্ন্যাসীর জায়গা
নেই।
ফেরা
বিছানায় চাঁদের আলো
শুয়ে আছে অনেক
ছিন্নভিন্ন রাত পেরিয়ে
ঘুমন্ত বুদ্ধ যেন
হিমালয় শিখরে
মুখখানি ধুয়ে যাচ্ছে
অলকানন্দা-জলে
কপালের ঘামে ফুটে
আছে স্বাতী,
অরুন্ধতী-
জোনাকি হয়ে উড়ে
বেড়াবে ঘরময় আর একটু পরেই
ঘর, উঠোন, পাড়া চুপ করে গেলেই
সন্তানের শান্ত মুখ
এমনই হয়
কলোনির ধোঁয়া লাগা
দেওয়ালে
মুখখানি ভেসে থাকে
শিউলি মাখা রাতে
পড়ে পাওয়া একফালি
জোছনার মতো
নয়ন ভরে নেয় নয়নে
তবুও মন তৃষ্ণার্ত।