কার্তিক ঢক্
ত্রিবেণী সংগমে
কাগজের নৌকো
সেই ই এক ঢোল এক
কাঁসি
বেজে চলেছে ঝন্ ঝন্
ঝন্ ঝন্...
তোর সঙ্গে বিছানা
চাই রে পাগলি--
নরম তুলোর বালিশ হ'বি !
ত্রিবেণী সংগম --
কাগজের নৌকো গুলো
স্রোত পেতে চাইছে...
পালের ডানায় ভোরের
রং আঁকছে বৈকালি আকাশ।
বৌঠা হ'লে নদীটিও জল ফিরে
পায়।
পাটাতনে বাগান ফুটবে
আর এক সৌন্দর্যে
শুঁয়োপোকাটি
প্রজাপতি রং মাখছে অলিক আনন্দে।
ভবঘুরে স্বপ্নগুলো
রাত জাগছে দিনের ব'য়ে
চলায়...
কি যে এক সংকীর্তনে
ক্ষয়ে যাচ্ছে প্রহর !
যদি বান ডাকি নদী
হবি?
কনকচাঁপার পল্লব
ভাঙা বারান্দাটির
শরীর বেয়ে শ্বাস নিচ্ছে
মৌন রঙের ইচ্ছাবন্দী
ঘর-
তার ভিতরেই কনেদেখা
আলো
চাঁদের তরল
পাখিদের সন্তুর।
প্রবল বৈরাগ্য ভারেও
রুদ্রাক্ষটির রং নীল
জপমালায় কেতকী ফুলের
নাম।
রুদ্রাক্ষটির চোখ
থেকে ঝরে পড়া রসায়নে
কিছুটা চিনি, কিছুটা লবন।
ও আর এস ভর্তি ঘট-
কনকচাঁপার পল্লব।
বিগ্রহ বলতে
দীর্ঘশ্বাসের অন্ধকার বুদবুদ ।
অষ্টদল পদ্মের মাথায়
মণি হয়ে জ্বলছে
নিরাবয়ব মহব্বতি
চিরাগ ...
নীল রঙের হাঁস
কষ্ট হচ্ছে!
ঠেলে বেরিয়ে আসছে
আলট্রা ভায়োলেট
বুদবুদ...
জল চাইছে - সাঁতার
চাইছে হাঁস --
ভালো লাগে না
বালিয়াড়ি স্রোত...
নিরবতার শব্দে খ'সে পড়ছে
রোজ সূর্যের গোধূলি
পালক !