সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পারমিতা বসু


পারমিতা বসু

অসম্পূর্ণ

মন খারাপ করা বিকেলে ,
পলাশরঙা খোয়াই এর পথ ধরে
     একসাথে  হাঁটা হলনা তো।
একরাশ বকুল ফুলের ভিজে  গন্ধ বুকে নিয়ে
তোমার  হাতে হাত রাখা হলনা।
অঝোর  বৃষ্টিধারায় ভিজতে ভিজতে
মল্লারের  সুর বাঁধা  হলনা যে।
চোখে  চোখে  অব্যক্ত রয়ে গেল কত কিছু
খুজে দেখা  হলনা  আর।
ভালবাসার  স্পর্শ টুকু ছিল চিরন্তন ।
অরন্যের গন্ধ ভরা শ্রাবণে
দেখা  তো হল না আজ ও।








চিরন্তন  

 গোধূলির অস্তরাগে একদিন  যেও
        ইছামতীর  কাছে,
প্রশান্তির আলো মেখে নদী তখন শান্ত হলুদ।
তোমায়  কাছে  পেয়ে,
নিভৃত আলাপচারিতার  ঢেউ  উঠবে তার  বুকে,
বলবে তোমার  কানে কানে
মন ছুঁয়ে  যে পাখি ;
মেলে দিয়েছে  ডানা
অনন্ত  আকাশে ,
মুক্তির  পথ খুঁজে  নাও তুমি
তার নিবিড় সঙ্গে ।
জ্যোৎস্নার রূপোলি  রেখায়
মিশে গেছে যে কায়া
জেনো তোমার  অন্তরে
তার অনন্ত  সমর্পণ ।
অক্রূরের রথের চাকায়  বিরহের  যে ক্রন্দন ,
যমুনা তীরে  বাঁশির সুরে
তার নিত্য সমাপন।







মন

অবসন্ন  প্রহর পার করে
একদিন  ফিরছি কোলকাতার  কাছে
খানিক  পরেই  শহরের  বুকে 
নেমে  আসবে সন্ধ্যা ;
ঝলমল করে  উঠবে তিলোত্তমা
জোনাকির মতো।
শূন্য  এ বুকে
ঘন হয়ে  আসে -একরাশ  স্মৃতি
এমন করেই কি জীবনের  জলছবি রঙহীন হয ?
এমন  করে ই  কি ক্লান্ত  লাগে
              দিন  ফুরোলে?
ঝিরঝিরে  বৃষ্টিতে ভিজতে  থাকে  শরীর,
কেঁপে  ওঠে  মন ,
আকাশের বুক  চিরে  বিদ্যুতের  রেখা
অন্ধকারে ও ঝলসে  ওঠে আলো
কখন ও কখন ও।