অরুণ
কুমার সরকার
অসহায় সময়
তুমি কেমন আছো, জানতে চাইবার আজ
মানুষ কই;
অথচ, চারদিকে হাজারো
মানুষ
জনবিস্ফোরণ.....
রক্ত মাংসের যন্ত্র
সব
আত্মচিন্তায় কুশল
বিনিময় কথাটাই যেন আজ
অবলুপ্তির
পথে;
অভিধানের পাতা
ওল্টাতে ওল্টাতে
আমরা হয়তো নিরাস
হবো
একদিন
হয়তো গবেষণা হবে
অসহিষ্ণু সমাজের
বুকে কেবল
ঘোড়দৌড়
ফুরসৎহীন যাপনের পলে
পলে অবিরাম
প্রতিযোগিতা;
কাঁচের গ্লাসের মতো
ভেঙে টুকরো টুকরো একান্নবর্তী
উঠোন
অসহায় সময়
একাকিত্ব কুঁড়ে
খায় শৈশব
আর বুঝি নিরাপদ নয়
মায়ের আঁচল
ছায়া;
সেখানেও দাঁত বের
করে আছে
নিষ্ঠুর সুচ.....
যে মৃত্যুতে
খই ছেটাতেও আসে না কেউ
খই ছেটাতেও আসে না কেউ
খুব কাছ থেকে একটা
মৃত্যু দেখে
ফিরেছি;
নিকটকে দেখেছি দূর
যেন কত অজানা অচেনা
আমার লোমকূপের
বাতাসেও তাদের
ভয়।
যে মৃত্যু সেদিন
খাদের কিনার থেকে ফিরিয়ে নিল
মুখ;
সে মৃত্যু যেন নিজের
একার
অপ্রতুল শ্মশান
বন্ধু
খই ছেটাতেও আসে না
কেউ।
এ মৃত্যু কেবল আগুন
খোঁজে;
আগুনেই লেখা হয়
সমস্ত পারলৌকিক ক্রিয়ার
গোপন
সহমৃত্যু।
একটা ছোঁয়াচে ভয়ে
সদর দরজায় পড়েছিল
বাঁশ;
ভয়কে উপেক্ষা করতে
পারল কেবল স্বাস্থ্যকর্মী আর
ডাক্তার নার্স
তাঁরাই কেবল কাছ
থেকে দেখে
নিঃশ্বাস যেতে আর
ফিরে আসতে....
পরিচয়
কে আপনি? আপনি কে?
ক্ষমতার অপব্যয়ে
দাম্ভিক প্রশ্নটা সোনার ওপর
ছুড়ে দেওয়া যায়
কিনা;
শূন্য মগজে সাধ্য কী
বোঝার
সোনার কখনও জাত ধর্ম
হয় না;
হলেও, তা কেবল বাইশ কিংবা
চব্বিশ ক্যারেট
কোনটায় গহনা হয়, কোনটায় হয় না
এই যা.....
সোনা কি সবাই চেনে?
সোনা আর রত্ন চিনতে
স্যাকরা কিংবা জহুরী
হতে হয়....
মানুষের জাত কি
দুটিরও বেশি?
নারী আর পুরুষ...
কিছু কিছু মানুষ
কখনও সোনা হয়ে ওঠে;
মানুষ একবার সোনা
হয়ে গেলে,
গর্ব ছাড়া আর কিছু
থাকে না
ভাসানো কাঠের কাগজ
হয় না কখনও;
তুচ্ছ অন্যায়ও
অন্যায়ের চৌহদ্দি ছাড়ায় না ঠিকই
তবুও, গাছ ভাসায় যারা
ভাসিয়ে দিতে চায়
যারা জীবন আর মৃত্যু
কে আপনি? আপনি কে? এ প্রশ্নটা বরং
সেইখানে সাজে.....