সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

রুবাইয়াৎ-ই- ফেরদৌস


রুবাইয়াৎ-ই- ফেরদৌস

বালির ঘর

আমার আর একটা পরিচয় আছে
এবং তা আমার কাছেই গচ্ছিত,
আমি ঠিক করেই নিয়েছি
কোন গন্তব্যে আটকে থাকব না।
পথিমধ্যে বাস আবার
ঠিকঠাক ঘুমানোর সুব্যাবস্থার প্রশ্নই নেই,
তারাদের দেখি খোলা মাঠ পেয়ে,
তাই ক্ষতির পরিমাণ খুব কম,
বিস্তর স্বাধীনতা।
আজকের ফুলগুলি ছিল ম্রিয়মান,
প্রচুর ঠান্ডায় জমে গিয়ে,
আমি পাশ দিয়ে যেতে যেতে
জানা কথাগুলোই উচ্চারণ করি---
রোদ পরবেই, রং খুলেই ফুলের অরণ্য
সাজবে একদিন।
আমার মতন
ফুলের কানে গিয়ে কম মানুষই কথা বলতে পারে,
কারণ ওদের হাত পা দ্রুততম নয়,
অনেক অভিযোগ -কাজ আর কৈফিয়তের সমারোহে
আসল রংগুলো ডুবে যায়,
ফুলেদের নির্মলতার সাথে তাই সেতু বাধে না।
হৃদয় ওখানে উদয় হয় না, শুধু অস্ত যেতে দেখা যায়,
সঞ্চয় নাই, বড় মায়া হয়
কঠোর শৃখলের দাসবৃত্তি নারীপুরুষের দরকার ছিল না,
একটি চোরাবালিতে আটকে দিয়েছে সেই নিজেদেরকেই!







স্তব্ধতা

তোমাকে দেখে নিলাম
আমার ভেতরের জানালা খুলার প্রয়াসে-
ব্যাথা ঠিক নয়,
নবীন আশাও নয়;
আবার জীর্ণতায় ভূক্তভোগী এমনও নয়।
ভাবলেশহীনে বসে আছো,
সময়ের প্রয়োজন বোধে উদয়ের কারণে উদাহরণ হয়ে।








পঞ্চাশের পরে

বড্ড কঠিন সময় দীর্ঘ চলাচলের পর,
কেউ প্রেমিকা চায়,
কেউ চায় অট্টালিকার সুখাবাস!
দুটোর জগৎ ভিন্ন হলেও চাওয়ার মাপ সমান।
না পাওয়ার তরে হাহাকার,
দার্জিলিং এর মতন মেঘ ছুঁয়ে আছি এমনি তাদের পরিসর, 
শুধু একবার জীবনের প্রাপ্তির ঘরে প্রবেশাদার এই ইচ্ছা দিয়েই,
বুকের ভেতরে দ্রুত লাটিমের ঘূর্ণায়মান
চাওয়ার তরে,
দিন আর রাত্রির কথা এক হয় ঘড়ির কাটায়।
রকেটের মতন অস্তিমজ্জা সমেত অন্তিমে মিশে-
তাকিয়ে থাকা বিরহীচোখ,
হারিয়ে ফেলে সকল প্রাসংগিক ক্ষুধাই।
আজ কের