হামিদুল
ইসলাম
স্মৃতি
সোমালিয়ায় এখন
প্রাণঘাতি যুদ্ধ
আমি খুন হয়ে যেতে
পারি
বিষাক্ত বোমার আঘাতে
আমার জন্যে তুমি
কেঁদো না
একফোঁটা চোখের জলও
ফেলো না
আমার কফিনবন্দি লাশ
পৌছে যাবে
তোমার উঠোনে ।।
ভালোবাসার এলবামটা
যেটা তুমি সযত্নে
রেখেছো তোমার বুকের মাঝে
ওটা আমার কবরে রেখে
দিয়ো
খেয়ে নিক সব উই পোকা
এই মুহূর্তে আমার
মৃত্যু সংবাদ আসলে তু
মি কপালের সিঁদুর
মুছে ফেলো
ভেঙে ফেলো শাঁখা
আজ স্মৃতিগুলো পুড়ে
পুড়ে খাক হয়ে যাক ।।
আগুনে না পোড়ালে
ছিঁড়ে টুকরো টুকরো
করো সব স্মৃতি
তবেই ভুলে যেতে
পারবে আমাকে
আমাদের প্রেমকে
প্রেমিক দস্যু হতে
যেয়ো না
ওরা পৌরুষহীন
ওরা বোঝে না জীবনের
মূল্য। প্রেমের অর্থ ।।
বরাবর
ফিরে আসি ঈশ্বরীতলায়
ফাঁকা মাঠ
ঈশ্বর নেই
কেবল বাতাসের মর্মর
ধ্বনি
মন্ত্রোচ্চারণ
ঘি আর বিল্বপত্রের
সুগন্ধ
বিশ্বাসের অতল জলে
ঈশ্বর ।।
ঈশ্বর ঘুমোচ্ছেন এখন
ভাঙা কুড়েঘর
এক অনাথিনী তার পাশে
তার মুখে রক্তবমি
দুর্গন্ধে ভরে ওঠে মাঠ
সীমানা ভাঙা উঠোন
ঈশ্বর জেগে আছেন
অন্ধকার দেয়াল
বরাবর ।।
ঈশ্বরকে পেয়ে যাই
দুহাতের মুঠোয়
ঈশ্বর একটি নাম
একটি ভাবনা
একটি চেতনা
যে চেতনায় বরাবর
আমাদের জাগতিক আকাশ ছোঁয়
সেই বিশ্বাসে এখনো
দাঁড়িয়ে আছে মানুষগুলো
অথর্ব সব
তবু ফেলে না হাত
থেকে অবিশ্বাসের পুতুল ।।
তবু পড়ে থাকি
নিঃশব্দতার বীজ বপন
করি
প্রতিদিন
শরীরী আত্মার ভাঁজে
ভাঁজে
প্রতিটি রক্তকণায়
মৃত্যুকোষ
জেগে থাকি
নিরেট অসীম
মহিমায় ।।
নিখাদ প্রেমে গুছিয়ে
নিই জীবন
প্রতি পদে পদে এখন
নস্ট্রালজিয়া মন
কুমারী ভূমির স্বপ্ন
দেখি রোজ
দাসত্বের জ্বালায়
কুঁকড়ে যায় চেতণা
নির্লজ্জ অবহেলায়
সয়ে নিই সব
মনটাকে প্রতিদিন
হালকা করে নিই ।।
তবু পড়ে থাকি
জীবন রঙ্গমঞ্চে জেগে
ওঠে প্রেম
জৈবিক কামনা পরস্পর
তবু পাহাড় ভাঙি
অদৃশ্য হাতের মুঠোয়
জেগে থাকে রাত
ঈশ্বর দেখেন ঈশ্বরের
হাত
পৃথিবী ধীরে ধীরে
নৈরাজ্যে হয়ে আসে শেষ ।।