হরিৎ
বন্দ্যোপাধ্যায়
এবং তুমি
(এক)
তোমারই তো মুখ
শত ভাঙনেও
তুমি উঠে আসো
তোমাকেই শুধু
পড়ে ফেলি বারবার
চোখের তারায়
তারাদল যেন জ্বলে
আকাশের মতো
চেয়ে থাকো তুমি
আলোকিত সব নামে
ঠোঁটের অংশ চোখে
পড়লেই
মনে পড়ে এক সেতু
সারা দিন রাত চলে
আনাগোনা
আবিষ্কারের নেশায়
চোখে এলে চুল শ্রাবণ
ঘনায়
মেঘে মেঘে সব কালো
আকাশ ভেঙে বৃষ্টি
নামলে
দুজনেই জলে আলো ।
(দুই)
তোমার মুখ মনে
পড়লেই
নদীর মতো বয়ে আসে
সকাল
ছোট ছেলেরা কাঁধে
ব্যাগ নিয়ে
স্কুলের পথে
চাষীরা চাইলেই
যেকোনো মুহূর্তে
ঝরে পড়তে পারে
বৃষ্টি
তবে এখনই নয়
আগে গাছের সবুজ আলো
গড়িয়ে পড়ুক মনে
মনে
আরও সবুজ হয়ে ওঠার
আগে
মন যেন সবুজ পড়ার
জন্যে তৈরি থাকে
তোমার মুখ মনে
পড়লেই
সবুজের হাতে বেড়ে
ওঠে আরও সবুজ ।
(তিন)
নিথর দুপুরের গায়ে
তুমি
সারাদিন মিশে থাকো
নৈঃশব্দ্যের ঠোঁট
থেকে
যে অবাধ চুম্বন ঝরে
পড়ে
তার আলোকিত পেলবতা
তোমার শরীর সম্পদে
স্থির হয়ে পান করি
লালারস
স্পর্শে উন্মাদ হই
তোমার উদ্দাম মুখরতা
দুজনেই ঘুমিয়ে
তবুও চেনা সমীকরণের
গোপনীয় ইঙ্গিতে
স্পষ্ট
আমাদের উদ্দাম লীলা
আমরা আমৃত্যু হেঁটে
যাব।