লক্ষ্মী নন্দী
রাজগৃহ
সবুজ গ্রীবায় সোনালি
রোদ্দুর।
যেখানে কথা না দিয়েও
কথা
রেখেছি। রেখেছি চোখ
আয়নায়।
জানি জন্ম তলায়
দ্রুততাল।
তবুও নক্ষত্র
বিলাসিনী আমি
সন্যাসী ডানায় এসে
দাঁড়িয়েছি
চাঁদোৎসবে। দর্পণের
ভেতর লুকিয়ে
গভীর ঘুমে অগ্নিবর্ণ ইতিহাস।
কে কে জেগে আছো?
করতলের পাশে করতল!
তৃষ্ণা জুড়ালাম
ছায়ামূর্তির ছায়ায়।
পূর্ণ কোনও
দিগন্তের থেকে
ভেসে এল কানে ------
আত্মার কোনও যাঞ্ছা
নেই।
রঙিন পালকের
খাঁজে মখমলি নিঃশ্বাস
আশ্চর্য উজ্জ্বল
দীর্ঘকাল
জলে স্থলে ব্যোমে প্রতি অক্ষে।।
বীর্যময় সমুদ্র
যতোবার তোমার
দিকচক্রবালের
দিকে তাকিয়েছি, আকর্ষিত হয়েছি।
দেখেছি মুগ্ধ প্রবল
সুন্দর তোমাকে।
অভিভূত হতে হতে
তোমার এগিয়ে
গিয়েছি। তুমিও কাছে
এসে ঝাঁপিয়ে
পড়েছ সর্বাঙ্গে। আহা
বীর্য উৎপাদন
সিদ্ধ তুমি কতোবার
প্রত্যাশা পূরণে
গর্ভবতী হয়েছি, সফেদ -সফেন
মিলন রসের লবনাক্ত
স্বাদ নিয়েছি
ওষ্ঠাধরে। সঞ্চয়
করেছি আমাদের সেই
অবগাহনের ক্রিয়া
প্রতিক্রিয়া।
একবার আমার
ক্যামেরায় ধরা
পড়েছিল এক আগলহীন জ্যান্ত যৌন
স্থাপত্যের। ঢেউয়ের
ক্লোজ আপে
লজ্জাকে চূর্ণ - বিচূর্ণ করছিল
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। তুমি
তো প্রাণখোলা
তাই জিজ্ঞেস
করেছিলাম ওরা কারা?
উলূপী অর্জুনের
সঙ্গম বাসরে!
উত্তর দাওনি তুমি।
কিন্তু আমার
মনক্যামেরায় আজও
স্পষ্ট হয়ে আছে
ঘর বিছানা ছেড়ে এসে
সমুদ্র সঙ্গমে
নেমে ঐ মানুষি সঙ্গম? ধিক, দৃশ্যদূষক
জানিনা সেটা কত নম্বর কামকলা
যেটা তারা লজ্জাহীন
পূর্ণসিদ্ধ হল।
তোলন
আরম্ভটা তুমিই
করেছিলে।
আজ বুঝেছি
সেদিনের অঝড়
বৃষ্টিতে
মিথ্যে শব্দে
ভরে যায়নি আমাদের
নিবিড় জঙ্ঘা।
সব মিলিয়ে প্রেমের
সাফল্য পরিব্রাজক
তুমি
যে এঁকে দিয়েছিলে
সূর্যের ছায়ার নিচে
এক অনাবৃত রমণীর
আত্ম প্রতিকৃতি।।
পুলকিত শিহরণ
আজও তুমি এলে
সিক্ত হয়ে উঠি আমি।
মনে পড়ে আহাঃ
তোমার সাথে কোতোদিন
নিঃসংকোচে
অনর্গল
মেতেছি প্রবল
উচ্ছ্বাস।
কতবার তোমার
উথল চুম্বনে হয়েছি
নিপাতনে সিদ্ধ।
তোমার সাথে
মিলনের পেলবতায়
এক অদ্ভুদ আত্মহারা
আছে। আছে নিষ্পাপ
নিখাদ বিশ্বাসী
তৃপ্তির আহ্লাদ।
তুমি ছাড়া কেউ কখনও
এভাবে ভেজাতে পারেনি
আমায়। আমার অঙ্গে
বারে বারে এভাবে
নামাতে পারেনি
প্লাবন।
চুম্বনে চুম্বনে
পারেনি
করে দিতে উন্মাদ।
কতদিন বিছানায়
বহন করেছি তোমার
দীর্ঘ ফূর্তির
পুলকিত
শিহরণ উত্তাপ ।
কিন্তু তোমার
অনুপস্থিতিতে একটা
প্রশ্ন জাগে। আসলে
মানুষতো প্রশ্নময়।
তাই এই জিজ্ঞাসা
তুমি কি বহুগামি?