জারা সোমা
বৈধব্যযোগ
ডোরবেলে আঙুল
ছোঁয়াতেই ঘুম ভাঙে গতজন্মের
হলুদ ছবি ও বাহারি
ফুলে শুরু হয় দর কষাকষি
ভীত নড়বড়ে হলেও চলে
যাওয়া
সবসময় থাকে না সরলরেখায়
সেখানে বারোমাস জুড়ে
হতাশা ঋতু
অথচ অঙ্ক শুরু
হয়েছিল সঠিক ফর্মূলা মেনেই
প্রেমিক শব্দটা উচ্চারণ
করলেই মনে হয় যেন বৃষ্টি হবে
ঠোঁটের মাঝে বেড়ে
যায় সঙ্কোচন-প্রসারণ
কুশনেরা কীভাবে যেন
আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে
তারপর শুরু হয়
কথাদের দায়ভার
দুটো হাত শুধু জানে
সবসময় প্রতিরোধ করতে নেই,
নইলে গ্রাস করে
বৈধব্যযোগ।।।
বাসর
সাপ
নিয়ে তেমন আগ্রহ না থাকলেও
জীবনে
প্রথমবার ছবি এঁকেছিলাম দাঁড়াশ এর
ছবিটা
দেখতে পেয়ে মাস্টারমশাই বুঝেছিল
আঁকা
সম্পর্কে কোনো ধারণাই আয়ত্তে নেই
তবুও ঘরের
আনাচকানাচে স্বপ্নে দেখি বাস্তুসাপ
ঘুম গভীর
হলেই সে আসে ঘন রাতে
কানের
কাছে মুখ নিয়ে হিসহিস আওয়াজে
জানান দেয়
তার তীব্র উপস্থিতি
তারপরের
ঘটনাগুলো তুলে রাখে পাড়ার লাইব্রেরি
আমি
প্রতিরাতে খুঁজতে থাকি সাপের পলক
মুখের
কাছে টেনে এনে পরখ করি
মাথাটা গোল নাকি ত্রিভুজাকৃতি
বিষ ঢালতেই জমে ওঠে আত্মহত্যা খেলা
ভরসা তখন
দেনা পাওনার অঙ্ক
সকাল
হলেই শুরু হতো উসকো খুসকো অপেক্ষা
কিন্তু একটা সাপের আয়ুরেখা আর কতদিন
অপেক্ষার
জল বাড়তে বাড়তে
অসহিষ্ণুতা
একদিন খুঁজে নেয় নতুন বাসর।।
রতি
অন্য কোনো
নামে আজও ডাকতে পারিনি
জন্মান্তর
থেকে উঠে আসা শব্দেরা
খেলে ঘর
ঘর বাসনা
উঠোন ঝাঁট
দিয়ে জড়ো করি আশ্রয়
পথিক এলেই
ঝাঁপিয়ে পড়বে শব্দহীন
কথা ও
অকথা গুলো বাজতে থাকে রিনরিন
কখনো রোদ
আবার কখনো মেঘ
ভাসিয়ে
নিয়ে যায় রূপকথার মতো
মোহনবাঁশিতে
ঝুলে থাকে জন্মান্তরের পৌরুষ
স্পর্শে
ভেসে ওঠে ঈদের চাঁদ
বিষাদ-অভিমানী
শব্দেরা
শাওন নামে
ডেকে বোঝাতে থাকে
রথ ও রতির সমীকরণ।।।