গৌতম কুমার গুপ্ত
এসো
এসো,এসো দু'হাতের করতলে
এসো মেঘজল বিশুদ্ধ
উদ্যান
পবিত্র পানীয় নেবো
অথবা পরিচয়হীন ফুল
এসো,এসো আকাশের নীল
পবিত্র ফাঁকা নেবো
শূন্য অমোঘে
মাথা রেখে দেবো
সরব নিঃশ্বাসে
নিজস্ব নির্জনে
এসো এসো দু 'হাতের করতলে এসো
আগুনের শিখা লেলিহান
পুড়ে যাবো পবিত্র
দহনে অঙ্গবিষাদে
দুঃখ সুখ ছারখার করে
এসো
এসো হরষে বিষাদে
কান্নাহাসিতে
এসো শেষ নিঃশ্বাসের
প্রলয়-ভাষাতে
এসো জাড্যে জঙ্গম
অথবা স্থাবরে
সুস্থিতি হোক আমার
বিস্মৃতির ওপারে
ম ন ব স তি
উচ্ছন্নে যাবার আগে
একবার যদি ফুল ফোটা দেখা
যেতো
নির্ঘাত উতরে যেতাম
এই জন্মে
ভাঙাচোরা কলজেয় আমার
মনবসতি
শুধু মাংসল রেখা
দেখা যায় মাত্র
নিজেকে উগলানো নিড়েন
করে দেখেছি
সবুজ হচ্ছে না
কিছুতেই এই আগাপাশতলা
তাই যেন কাঁকরজন্ম
সার্থক হতে যাচ্ছে
এই গতরে কসরত আসে না
অনুশীলনীও খাটে না
মন্দ যাপনে
সাঁতারের ভ্রম তো
কবেই এসেছে নখদর্পণে
নির্দিষ্ট স্বপ্ন
ভাঙতে থাকে গুঁড়ো গুঁড়ো
পিঁপড়ে খেয়ে চম্পট
দেয় ফিরোমেনের তাৎপর্যে
যতো দেখি অাঁধার
খুবলে নেয় আলোর রুধির
নিজেকে গড়তে গেলে
শুধু থুথু থুৎকারে নেভে
উচ্ছনে যেতে দিই বরং
লাবণ্যহীন এই স্বপ্ন
অপেক্ষার মেরুতে আজ শুধুই
বরফ
যা গলে না বরং বেড়ে
যায় প্রদেশ বৃত্তান্তে
ত ছ ন ছ
ভেতরে বাইরে চুরমার
কাঁচের বারান্দা।
এক পলকের মুহূর্ত
নয়। সহস্র ঝনঝন।
কেঁদে উঠলো জল
মাটি। হতবাক বৃক্ষরাজ।
প্রৌঢ়ত্বের বাদামী
মাথা দুলে উঠলো।
উস্কোখুস্কো
বায়ু।বেতাল সংসারী ঘটি ও বাটি।
দেনার দায়ে বিক্রি
হতো কানাকড়ি।
নিজের ভেতর আত্মগোপন
মুখ। স্বাদে ঠেকছে
বিস্বাদের নখের
অংশবিশেষ।
সান্ত্বনা নেবার
আঁতিপাঁতি।
ওখানেও
ধূলিসাৎ।মরুভূমির বেলা।
কি করে সাজানো হবে
গোছগাছ।
ছিন্নভিন্ন মগজ। স্নায়ুবিকার।
প্রলাপে সাজানো
অহংকার।
বেপরোয়া বৈপরীত্যে
একশো থেকে এক।