সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

দেবযানী বসু


দেবযানী বসু

স্বপ্নের রিমিক্স

স্বপ্নের প্লবতায় ভিজছি। খেলার মার্বেল গুলি উড়ে উড়ে নক্ষত্রের দেশে চলে গেছে। পোষা শুয়োরগুলো ভয়ে জড়সড় থাকে সবসময়। ওরা অবাক হয়ে পোষা কুকুরের মার খাওয়া দ্যাখে। ভেজা মাটির পথ সব কথা ফিরিয়ে দিচ্ছে। আমার রাখার জায়গা নেই। রাঙা কচুপাতারা শিশির ধরে রাখতে পারে না। চোখের জল ধরে রেখেছে না গড়াতে না দিয়েছে শুকোতে। ভারি ভারি আসবাবপত্ররা নঞর্থক মাথা নাড়ালে পুতুলবাক্স ছুঁড়ে দাও জঞ্জালে। পুতুলের বিয়ে করার ইচ্ছে ভেস্তে যাক। স্বপ্নের ভিতর নক্ষত্ররা অপমানিত তেষ্টায় মরে কাঠ। কাকেরা পর্যন্ত ঠোঁট বসাতে পারছে না।






ফাইলের জিভ

ব্যালকনিতে ছড়িয়ে পড়ছে গাঁজার পৌরুষ। সিগারেট পুড়ছে অপমানে। লুডোর ঘুঁটিরা রঙ পাঠাচ্ছে লুডোঘুটিদের অবিরাম ঘুরঘুরে পথে। রঙের বিষ ল্যাবের চরিত্র বুঝে বুঝে নিতে  হবে। পাপোষরা গাঁটছড়া খুলছে। রাগঝাল ঝরছে। অম্বলের ওষুধের ছটায় আশি হাজার মাকড়সা জন্ম নিল। মাকড়সারা নিজের জালে মৃত্যু ঝুলিয়েছে দুলিয়েছে। যাদুবিদ্যায় ব্যবহৃত চেয়ারটি স্বাবলম্বী হয়েছে। সব তাস কাছে আসতে আসতে জোকার। ফাইলের জিভ বেরিয়ে আছে কাটা ছাগলের জিভের সাদৃশ্যে। কে এক বালক ছাগলের গায়ে হাত বুলিয়ে চলেছে সান্ত্বনা খালি সান্ত্বনা।







অতিশ্রাবণ

ছাতামেলা স্তন। ভোরের শিশিরমাখা লিঙ্গ। অন্দর মহলের আনাজ কাঁটায় ভর দিয়ে লাফিয়ে উঠছে। পত্রিকায় জন্ম নিচ্ছে ভ্রূণ। হেম সেলাইয়ের ডোবা ওঠা সাঁতার স্বপ্নের উপর কাঁটাতার বিছিয়েছে। সুতোমানবমানবীদের হাতের অক্ষর আর বেঁচে নেই। হাতের লেখার সরব ও নীরব সমর্থন বেঁচে আছে চুপচাপ আলোক্রীড়ায়। বায়ুকলের স্মৃতি অনুলিপিকার খুঁজে বেড়ায়। রঙ বিতরণের বহু বাৎসরিক আয়োজনে পোষা কুকুরের লেজ বহুপঠিত দোলায়িত।শেষবেলায় জীবন্ত কবরগুলি ধ্বংস করে দেওয়া যাক। অতিশ্রাবণ তো কবরও শুষতে অপারগ।