মতিউল ইসলাম
ঈশ্বর তোমাকে
অতঃপর সাহিত্যের ঈশ্বর
আমাদের নির্বাসন দিলেন
তাঁর স্বর্গ থেকে,
যেখানে তার বহু স্তাবক,হাজার কাব্য
আর তার গুণমন্ত্র উচ্চারিত
হয় অবিরত।
ঈশ্বর ক্ষুব্ধ হলেন,
তিনটি 'ম' এর জন্য,
তিনি মহা পরাক্রমশালী,
তিনি বিনয়ের অবতার
তিনি কয়েক হাজার কাব্যর মালিক।
স্বর্গ থেকে পতনের পর
ঈশ্বর নয় মানুষের সাথে বসত
আদম আর ইভের লিলাক্ষেত্র.
ঈশ্বর তোমার ভুলে গেছি
ভুলে গেছি তোমার বাগান,
এখন মানুষের খেতে
সবজি ফলে অবিরত।
আর কি আশ্চর্য তুমি
তুমি দক্ষিণা নাও
তুমি পুজা চাও,
চাঁদ সওদাগরের কাছে।
মৌনতা
বিষন্ন রাতের ঝিঝি ডুবে যায়
কুয়াশার অতলান্তে,
ঘুম গেছে হারিয়ে নিস্তব্ধতার
কারাগারে।
মুক্তোর দানার মতো শব্দ গুলো
খুজে ফিরি আঁধারে,
কিছু শব্দ বাক্য তৈরি করে,
কিছু অবাক্য বিষন্নতা জাগায়।
যখন মৌন মুখর হয়
তবে কেন অযাথা অপচয়?
লেপের ওমে তোমার বিস্মৃতি,
নাকি বিস্মৃতির আড়ালে
তোমার দগদগে উপস্থিতি?
হয়তো জানে রাতের প্যাঁচা,
কিংবা নীরব অভিমান।
ভষ্মের জন্য
উনুনে জ্বালিয়েছি কামাগ্নি,
পাত্রে ফুটছে অনুচ্চারিত
ভালোবাসা।
বিষন্নতার অশ্রুজলে
মনখারাপের বুদবুদ।
সময় হচ্ছে অতিক্রান্ত
থালা হাতে বসে আছে
বুভুক্ষের সারি,
একটু সহানুভুতি আর
ভালোবাসার জন্য
কোকিলের কন্ঠে রক্ত,
তবু বসন্ত আসে
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
আপাদমস্তক অহং আগুন
নিয়ে প্রতিক্ষা
একমুঠো ছাই হবো বলে।