শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

গৌতম কুমার গুপ্ত


গৌতম কুমার গুপ্ত

ডানা

ডানা লিখে নেবো পিঠে উড়ানের ছলে
যদিও কাকাতুয়া বুলি আসে নি মুখে
হাতের মুদ্রায় কলহ বিধুর
আমাতে জাগে নি রোষ
      বরং বেড়েছে ক্রোধ

এসেছে সাহস রুখে দিতে চাই
বলে যেতে চাই রোসো
আমিও লিখেছি শনৈঃ বিদ্যুৎ
           বজ্রগর্ভ আলো

জেনে যেতে চাই তুমিও ছিলে সাথী
শুধু আমি নই একা অপরাধী
আমাকে দিয়েছো ঠোঁটের প্রেম
তোমাকে লিখেছি চিঠি

আজও তো আছি পথের সাথী
এখানেই হবে না ইতি
দ্যাখো এখনও চোখে প্রেমের প্রতীতি







এ ক ল ব্য 

রক্তাল্পতা সরিয়ে কলমের সূচাগ্রে
দু এক ফোঁটা রক্ত লিখেছি
লৌহকণিকা নয় রযেছে পাথুরে আমিষ
দুহাতে শত্রুর মুখে তুলে দিয়েছি নিন্দার্হ
মুখরোচক ঘৃণার্হ প্রশস্তি

ঢেউয়ের বিমুখে সাঁতার বেঁধেছি পায়ে
হাতের কলমে শস্ত্রচালনা
একলব্যের দায়ে যন্ত্রণা ধুয়েছি আঙুলে
আমার দু'চোখে আগুন নিভেছে জলে

মুক্তো ছাঁদের অক্ষরে যদি পাই খাদ্যপ্রাণ
তুলে নেবো অবশ্যই খনিজ লবন
সক্রিয় বিক্রিয়ার জারণ  বিজারণে
বিবর্ণমালায় হবো সচ্ছল অণুঘটক

কলমের সূচাগ্রে দু এক ফোঁটা রক্ত লিখেছি







প্রতিবেশ

বলি যেভাবে, অনুক্ত ঊবাচই থেকে যায়
সম্ভাবনা যে টুকু উক্ত হবে না আর
তারিখের অনুমানে সৌরক্ষয় শুধু শুধু
ভুলে যেতে হয় এখানে কেউ বর্ষজীবী ছিল

দরোজার হাতলে কারা শব্দ রেখে যায়
ছিটকিনির শাপান্তে অচেনা বিদ্বেষও
কড়া নেড়ে উচ্চকিত নৈকট্যের বায়ুমহল
খুলে দিই সব অন্তরায় অন্তরাত্মায়

ডাক শুনতে শুনতে পোঁছে যাই অগভীরে
আত্মীয়ভাষে বলি শুধাই কুশল হাসি ও কথা
কৌতুহল খেলে যায় কিছু প্রগলভ চোখে
নিভৃতির আলিঙ্গন তখনও কড়া নাড়ছে বুকে