চন্দ্রাণী বসু
অসম্পূর্ণ থাক
ইচ্ছে করেই বৃত্তের
পরিধিটা সম্পূর্ণ করি নি
ক্লিভেজ দূরের ফাঁক
রেখেই
বরাবর ভেঙেছি
পেন্সিলের শিষ
পরিধির যাবজ্জীবনে
বড় ভয়
বাসরের ফাঁক গলে
পঞ্চভূতের বড় নেশা
...
ভরা জ্যোৎস্নার
টাপটুপ ন্যাকামিতে
নষ্ট শরীর ভেজাতে
চাই নি কখনো
পারলে আমায় বরং
কৃষ্ণাএকাদশীর এঁটো চাঁদ দিস ...
এলোমেলো
আলো
ছোঁয়ার আগে অনন্ত প্রতীক্ষা। বসে আছি পথ ছুঁয়ে ভিক্ষুকের বেশে। অনন্ত খোঁজ ...
কিছু হারিয়ে ফেলার অথবা না পাওয়ার যাপনের ভিক্ষা একমুঠো ... অনাহূত পথিকের পায়ের
শব্দে বারবার ঝিমুনির সমাপতন... ঘুম ভাঙে... জেগে ওঠে ব্যস্ততা... ভিড়ে হারিয়ে যায়
কত সুখ অথবা অসুখের অলীক চোখ... অসমাপ্ত ক্যানভাস সাক্ষী থাকে ভিক্ষার, ভিক্ষুকের, দাতার অথবা
আত্ম-কথনে গুটিয়ে নেওয়া শামুকের খোলের ...
বর্ণলিপি
অমাবস্যা
নিশি। দু-পা দূরেই নিয়ন আলোর ঝিকিমিকি। তবু সে বলে ওঠে ... আমার আজকাল অন্ধকার বড়
ভালো লাগে,
ঠিক ওই
কোণাটার মতো। কোণায় সরে যায় দুটি ছায়া। অন্ধকারে আর ছায়া দেখা যায় না, শুধু একই সংলাপের
অদল-বদলে মননে মিশে যাওয়াটুকু থাকে। কালো আকাশের বুকে একদল সাদা বক উড়ে যায় সশব্দ
বাজির আঘাতে...নির্মাণ করে এক চিত্রপট... এক জোড়া ঠোঁট ফিসফিস করে ওঠে ... দেখো ওরা কখনো দল ভাঙা হয়
না। অথচ ...
ভাগ্যিস
ওদের কোনো বর্ণলিপি নেই ...