শোভন মণ্ডল
তলিয়ে যেতে পারি
হাত ছেড়ে গেলে তলিয়ে যেতে পারি
আকুল জলের ভেতর
জল মানে তল আর অতলের সূক্ষ্ম ব্যবধান
বাকিটা ফেলে আসা ঝাপসা রঙ
অনন্ত আবেগের গায়ে তুলির আঁচড়
অপটু হাত শুধু এটুকুই তুলে রাখে নিজস্ব ঋণ
তবু তুমি জেনো, জেনে
রাখা ভালো
কবিরও গিলে খায় নিদারুণ অপূর্ণতা...
শাল-পলাশের বন
দুপুরের অলস হাওয়ায় কেঁপে যায় শালের বন
তীব্র উচ্ছ্বাস। ঝরে যায় পাতা
ভেসে যায় নৌকো হয়ে
এই যে পথ চলে গেছে জঙ্গলের ভেতর
আঁকা-বাঁকা, অজগরের মতো
দু'পাশে আগুন জ্বালানো পলাশের গাছে
লাল ধুলো পায়ে পায়ে
আমাকে সঙ্গ দেয় প্রতিদিন, এ পথে
আমি শুধু অবাক বিস্ময়ে অরণ্যের গন্ধ শুঁকি
অনুভব করি ফুলের উত্তাপ
আর ওই যে একদল মেয়ে
ঝাঁট দিয়ে জড়ো করছে শালপাতা
সযত্নে ভরে নিচ্ছে থলির ভেতর
ওদের শরীরে গড়িয়ে পড়ছে ঘাম
অরণ্যের বিস্ময় ওরা গায়ে মাখছেনা
ঈশ্বর
অনুভূতির ছোঁয়ায় লঘু হয়ে আসে মন
সে এক অন্য যাপন
জানি না, এর কোন অর্থ আমাকে জাগিয়ে রেখেছে কিনা
ঈশ্বর যেভাবে নেমে এসেছেন, হয়তো
নাগাল পাইনি তাকে কখনও
শুধু ওই যে মন্দিরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়
যে ছেলেটাকে দেখেছি
সারাদিন ঘেমে-নেয়ে রোদ্দুরে পুড়ে মালার পসরা নিয়ে বসে
বিশ্বাস করো, ওর জন্য
শুধু ওর জন্যই আজ আমি আস্তিক