শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল


লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল

খয়েরী রঙের সমীক্ষা

এক

ছাই উড়ছে শরীরের বলিরেখা ঘিরে, আর কিছুদিন পরেই আড়চোখের দৃষ্টিতে বসবে কলঙ্কের ছাপ।  মগ্নতা থেকে  সুশীল পুরুষের দিক পরিবর্তনের ছবিটা কেটে যারা ঘুড়ি ওড়াবে তারাও ক্লান্তি ঘোঁচাতে হাত উঁচিয়ে হাই তুলছে চৌরাস্তায়।  মুক্তবেণির  মেয়েটি পান'এ আদা মেশাতে মেশাতে বাতাসের তাপ মাপছে-  পাশেই ট্যাপ খুলে পড়ছে জল। তাদের কোনো বিকার নেই, নরেন্দ্রও কেমন বরফ খুঁজছেন- এটা তার ভান হতে পারে, তবে কোন নৌকাবিহার নাই! মফসসলের শরীর পুড়ছে, আর কালো কালো ঘুর্ণির ঘুর্ণনে ঘুরছে জামা প্যান্ট শাড়ি ব্লাউজ, রাগছেন বাগ্মী মমতা। বৈরাগ্য কোথায় কে জানে-








দুই

বিকেলের চালায় গাল ঠেকিয়ে থাকার দৃশ্যতে হার মানে পশ্চিমের রং। মশগুল তার ক্লান্তিতে দুদলের কাঁটাতার।  যারা দিন ফিরিয়ে দেবার জন্য মিছিল করে তার সাথে বিরোধী দলের কোন পার্থক্য নেই- সকলের ইস্তাহারে ঘুমন্ত রাত্রি অবোধ্য।  তবু হাওয়ায় ফোলা খয়েরী ঠোঁট  জামফলের মতো রসাল, যেন ছায়া কেঁপে ওঠা এই  ভূগোল, আর সঙ্গমে উন্মুখ লাঠি সোটা বন্দুক।  ঠিক ঠিক  রাঙাদ্বীপের কাহিনী। এই বুঝি ফিরে ফিরে আসে চাপ চাপ রক্ত-  জঙ্ঘা বেয়ে দক্ষিণে মেঘদলে-







তিন

আরও আটকে রেখো সহজ কোমর পেঁচিয়ে রাখা শাড়ি, অথবা জটিল হও পালাগানের সহচরী।   এই জংলিপনাতে কিছু সময় তো দাও-  যেখানে দৌড়ে দৌড়ে হৃদয়টা বেড়ে যেতে পারে জঙ্গলের পরিধি  মতো -  এই জৈষ্ঠ্যে  দম বাড়াতে পারলেই  সাপুড়েরা বুঝে নেবে মিথ্যে রানীর গন্ধ।  যতই উড়ুক্কু সাপ হোক এক্সিট পোলের সংখ্যা গুলো পেরোতে পারবে না আর-